Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > ঢাকা

নাশকতার দুই মামলায় বিএনপির ৬৫ নেতা-কর্মীর কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নাশকতার দুই মামলায় বিএনপির ৬৫ নেতা-কর্মীর কারাদণ্ড

নাশকতার দুই মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ৬৫ নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভিন্ন ভিন্ন রায়ে এই দণ্ড দেওয়া হয়।

রাজধানীর বংশাল থানায় দায়ের করা এক নাশকতার মামলায় ২৫ জনকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদী এই রায় দেন।

মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে নগরীর ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. তাইজুদ্দিন ওরফে লম্বা তাইজু ও মহিলা দলের ঢাকা দক্ষিণ সিটির সভাপতি রাজিয়া আলম ওরফে রাজিয়া সুলতানা রয়েছেন।

অন্য আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সোহেল, রাজু, হাজি সিরাজ, মামুন, রনি, মঈন, হাজি মো. মাছুম, গলাকাটা আজিম, ওমর ফারুক প্রমুখ।

আদালতে আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার আগে ম্যাজিস্ট্রেট তাঁদের জামিন বাতিল করে পলাতক ঘোষণা করেন এবং সাজা দেন। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেন এবং বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদালতের আদেশ কার্যকর করার নির্দেশ দেন।

তাঁদের গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে তাঁদের শাস্তি কার্যকর হবে বলে ম্যাজিস্ট্রেট রায়ে বলেছেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী ইমরান হোসেন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিকেল পৌনে ৪টার দিকে রাজধানীর বংশাল এলাকার এনসিসি রোডের আহমেদ বাওয়ানী স্কুলের সামনে তাইজুর নেতৃত্বে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের একদল নেতা-কর্মী জড়ো হন। তাঁরা যানবাহন, দোকানপাট ভাঙচুর করে এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে।

এ ঘটনায় তাইজু, রাজিয়াসহ ২৩ জনকে আসামি করে বংশাল থানায় মামলা করে পুলিশ।

তদন্তের পর, পুলিশ ২০১৯ সালের ৩০ জুন ২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করেন। বিচার চলাকালীন মামলা তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

কলাবাগান থানার মামলায় ৪০ জনের কারাদণ্ড:
২০১৩ সালে দায়ের করা এক মামলায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার ৪০ জনকে দেড় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সিরাজুল ইসলাম, শাহ আলম সৈকত, জাকির হোসেন, মো. নোমান, পলাশ হাওলাদার, জাহাঙ্গীর হোসেন, মাহমুদুল হাসান রুম্মান, ফয়সাল, শহিদুল,  মো. রাসেল আব্দুল লতিফ, রুবেল প্রমুখ।

আদালত এ মামলায় ২৬ জনকে বেকসুর খালাস দেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পিপি মনিরুজ্জামান হাওলাদার এই রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর কলাবাগানের বীর উত্তম সিআর দত্ত লেনের বিগ বাইট নামক দোকানের সামনে পাকা রাস্তার ওপরে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অস্ত্রশস্ত্রসহ বেআইনি সমাবেশ করে রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করেন।

এ ঘটনায় কলাবাগান থানা-পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। ২০১৪ সালে তদন্ত শেষে ৬৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

আত্মহত্যা করতে যাওয়া দোলা আজ স্বাবলম্বী

রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

কলাবাগানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলায় সমন্বয়কসহ ১৪ জন আটক

উল্টো পথে বিএনপি নেতার গাড়ি, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা

ছোট্ট শিশুটির বড় বিপদ

হিযবুতিদের দৌড়ানি দিলে তারা আমাকে মারধর করে: সেই রিকশাচালক

উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ হিযবুত তাহ্‌রীরের ৩ সদস্য রিমান্ডে

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারী বাধ্যতামূলক ছুটিতে, মামলা এখন আদালতের এখতিয়ারে

পল্টনে সংঘর্ষের সময় আটক ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে আনলেন উপদেষ্টা আসিফ

ধর্ষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে নারীদের সমাবেশ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণ দাবি