জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদসহ পাঁচজনকে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অন্য চারজন হলেন জুয়েল গাজী, আনিসুর রহমান লুলু, জাহিদুল ইসলাম রনি ও সাদ্দাম হোসেন রাজিব। এরা প্রত্যেকেই বিএনপি সমর্থক।
বিকেলে রাজধানীর কাফরুল থানা-পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. টিটু আলী মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেককে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন না দিয়ে প্রত্যেককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আবুল কালাম আজাদকে শেওড়াপাড়ার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাতে কাফরুল থানা এলাকা থেকে আটক করা হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ৪ জুন রাত অনুমান ৮ টার দিকে কাফরুল থানার অন্তর্গত মিরপুর ১৩ নম্বরে পুলিশ স্টাফ কলেজের সামনে ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স:) কে কটূক্তি করার একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে ফেসবুকের কটূক্তিকারী একজনকে কয়েক ব্যক্তি মারধর করে এবং ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করতে গেলে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে মারধর করে। তাদের কর্তব্য কাজে বাধা দেয় এবং রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করে এবং সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় পরদিন কাফরুল থানা-পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
ওই মামলায় আবুল কালাম আজাদ সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, এই আসামিরা হত্যার চেষ্টা এবং পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেওয়াসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়।