হোম > সারা দেশ > ঢাকা

জাফর উল্যাহর পরাজয়ের পেছনে জনবিচ্ছিন্নতা ও নিক্সনের দাপট দেখছেন স্থানীয়রা

ফরিদপুর প্রতিনিধি

টানা তৃতীয়বার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েও পরাজিত হয়েছেন ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) আসনের প্রার্থী ও দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ। তাঁর এই পরাজয়ের পেছনে দীর্ঘদিনের জনবিচ্ছিন্নতা ও নিক্সন চৌধুরীর দাপটকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। 

এ ছাড়া জেলার রাজনীতির কূটকৌশলকেও দায়ী করছেন কেউ কেউ। তবে এবারে আসনটিতে সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়াই পরাজয়ের প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন জাফর উল্যাহর ব্যক্তিগত সহকারী মামুনুর রশিদ মামুন। 

কাজী জাফর উল্যাহ শেষবার ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন ফরিদপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর দুদকের মামলা থাকায় নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। তবে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দলীয় মনোনয়ন পেয়েও স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান (নিক্সন) চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন। 

এবারও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েও নিক্সন চৌধুরীর কাছে প্রায় ২৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন। এ নির্বাচনে তিনি ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬ ভোট পান। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী তাঁর চেয়ে প্রায় ২৫ হাজার ভোট বেশি পেয়ে জয়লাভ করেন। 

স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কাজী জাফর উল্যাহ শুধু নির্বাচন সামনে রেখে এলাকায় আসেন। এ ছাড়া এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁর তেমন যোগাযোগ থাকে না। কিন্তু স্থানীয় সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরী বেশির ভাগ সময় এলাকার মানুষের সঙ্গে থাকায় তাঁর জনপ্রিয়তা বেশি। এ ছাড়া নিক্সন চৌধুরীর দাপটে তাঁর নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন কারণে হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন। হামলা-মামলা, হুমকি-ধমকির ভয়ে বেশির ভাগ নেতা-কর্মীরা নিক্সনের পক্ষে কাজ করতে শুরু করেন। এটাকে পরাজয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন তাঁরা। 

তবে জেলার রাজনীতির কূটকৌশলে হেরে গেছেন বলেও একটি সূত্র জানিয়েছে। সূত্রটি জানায়, ফরিদপুর-৩ আসনের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সঙ্গে নিক্সন চৌধুরীর সখ্য রয়েছে। অপরদিকে কাজী জাফর উল্যাহর সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আ. লীগ প্রার্থী শামীম হকের সখ্য থাকায় স্থানীয় ভোটের রাজনীতিতে এর প্রভাব পড়ে। 

সূত্রটি আরও জানায়, ফরিদপুর-৩ আসনের তিন উপজেলায় এ কে আজাদের বিভিন্ন কোম্পানির কয়েক হাজার কর্মী থাকায় প্রায় ২০ হাজার ভোট ছিল। তাঁরা সবাই নিক্সন চৌধুরীর জন্য নির্বাচনে কাজ করেছেন। এ ক্ষেত্রে নিক্সন চৌধুরী ভোটের রাজনীতি বড় ধরনের সাহায্য পেয়েছেন। 

এদিকে, সুষ্ঠু ভোট না হওয়াই পরাজয়ের কারণ দাবি করেছেন কাজী জাফর উল্যাহর ব্যক্তিগত সহকারী মামুনুর রশিদ মামুন। তবে জনবিচ্ছিন্নতার বিষয়টিকে উড়িয়ে দেননি তিনি। 

মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, ‘দীর্ঘদিন কাজী জাফর উল্যাহ এলাকায় যায়নি, এটা সঠিক। ওনার বয়স হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা থাকায় এলাকায় কম যাওয়া হয়। তা ছাড়া উনি তো আর এমপি না যে ঘন ঘন এলাকায় যাবেন। এ ছাড়া করোনাকালীন তিন বছর তিনি এলাকায় যাননি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায়। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তা কমেনি।’ 

এবারে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি দাবি করে পরাজয়ের কারণ উল্লেখ করে বলেন, ‘ফরিদপুর-৪ আসনের নির্বাচন কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি। বিভিন্ন কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। আজিমনগর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে নিক্সন চৌধুরী নিজেই আমাদের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। শিবচরের দত্তপাড়া এলাকার পাশে কেন্দ্রগুলো থেকে এজেন্ট বের করে এককভাবে ভোট নিয়েছে। সদরপুরের চরমানইর ইউনিয়নে, কৃষ্টপুর ইউনিয়নে ভোট কেটেছে। এভাবেই বিভিন্ন কেন্দ্রে আধিপত্য দেখিয়ে ভোট কেটে নিয়েছে। এ কারণেই আমাদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

জাবির মেয়েদের হল থেকে বহিরাগত যুবক আটক

অপ্রশস্ত সেতুতে ভোগান্তি

ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর বিরুদ্ধে থানায় জিডি

সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেলের কারখানা পরিদর্শনে ভোক্তা-অধিকারের কর্মকর্তারা

আন্তকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মাইলস্টোন কলেজের সাফল্য

পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

ব্রির ছয় দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা শুরু

সিরাজদিখানে কুকুরের কামড়ে ৫ শিশুসহ আহত ১৫

সাবেক এমপির নামফলক ভেঙে গণপিটুনি খেলেন শ্রমিক দল নেতা

নাগরপুরে আ.লীগ নেতা কুদরত আলী গ্রেপ্তার

সেকশন