রাজধানীর কদমতলী ও বাড্ডায় পৃথক দুটি ঘটনায় তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে ঘটনা দুটি ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নেওয়া হয়।
আহতরা হলেন মো. মনির হোসেন সানি (৪৫), মো. আলামিন (৪০) ও সাইফুল ইসলাম (৩২)। মনির ও আলামিন কদমতলীর ঢাকা মেস এলাকার একটি রড ফ্যাক্টরির নিরাপত্তাকর্মী। আর সাইফুল ইসলাম দক্ষিণ বাড্ডা এলাকার একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
কদমতলী থানা-পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে কদমতলী শ্যামপুর এলাকার একটি ফ্যাক্টরিতে মো. মনির হোসেন সানি ও মো. আলামিন নামে দুজন নিরাপত্তাকর্মী দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় পাশের একটি বাসায় দুই চোর দেয়াল টপকাচ্ছিলেন। এ সময় দুই নিরাপত্তাকর্মী তাঁদের কাছে যান। পরে তাঁরা গুলিবিদ্ধ হন।
তবে আহত দুই নিরাপত্তাকর্মীর বিষয়ে ফ্যাক্টরির সুপারভাইজার মো. সবুজ বলেন, গতকাল রাতে ফ্যাক্টরিতে দায়িত্ব পালন করছিলেন মনির ও আলামিন। রাত পৌনে ২টার দিকে রাস্তায় শব্দ পেয়ে টর্চলাইট জ্বালিয়ে এগিয়ে গেলে এক ব্যক্তি তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে দুজনই পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে রাত সোয়া ৩টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
অপর দিকে রাত ৯টার দিকে পশ্চিম মেরুল বাড্ডা এলাকায় অজ্ঞাত ব্যক্তির গুলিতে সাইফুল ইসলাম নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। তিনি ডান ঊরুতে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রাতে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত সাইফুল ইসলামের খালাতো ভাই মনির হোসেন বলেন, তাঁদের বাসা দক্ষিণ মেরুল বাড্ডা বাজার এলাকায়। সাইফুলের বাড্ডা এলাকায় ভিডিও গেমসের দোকান রয়েছে। গত দেড় বছর আগে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়। তাঁর স্ত্রীর বাসা দক্ষিণ মেরুল বাড্ডা এলাকায়। এই বিষয় নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল। তাঁর ছয় বছরের একটি মেয়েসন্তান আছে। মাঝেমধ্যে মেয়েকে দেখতে মেরুল বাড্ডায় যান। গতকাল রাতে দক্ষিণ মেরুল বাড্ডা এলাকায় তাঁর শ্বশুরবাড়িতে মেয়েকে দেখে ফেরার পথে কে বা কারা গুলি করে। তাঁর ডান পায়ের ঊরুতে গুলি লাগে।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের একটা ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। তবে কেউ এ ধরনের কোনো অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি শোনার পর আমরা খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছি। এর সঙ্গে মাদক কারবারের বিষয়টি জড়িত থাকতে পারে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, ‘আহতদের ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আরেকজনকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’