দুপুর গড়ালেও কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম। তবে প্রার্থীরা নানা কায়দায় কেন্দ্রে ভোটার আনার চেষ্টা করছেন। ভোটারদের জন্য কেউ ফ্রি অটোরিকশার ব্যবস্থা করেছেন। কেউ আয়োজন রেখেছেন মোরগ-পোলাও ও শরবতের।
দুপুরে কেরানীগঞ্জের চড়াইল নূরুল উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে তুলনামূলক ভোটার উপস্থিতি বেশি ছিল। কেন্দ্রের সামনে বিভিন্ন প্রার্থীর কর্মীরা জটলা করছিলেন। সেখানের একটি দোকানে সবাইকে ফ্রি শরবত খাওয়াতে দেখা গেছে। জানা গেছে, আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহীন আহমেদের কর্মীরা ওই কেন্দ্রে ৩ হাজার গ্লাস লেবুর শরবত খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছেন।
বিনা মূল্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে অটোরিকশায় ভোটার আনতে দেখা গেছে। মধ্য চড়াইল থেকে অটোরিকশায় ভোট দিতে এসেছেন মুক্তা আখতার ও পারুল বেগম। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি থেকে আনা হয়েছে ভোট দেওয়ার জন্য। রিকশাভাড়া প্রার্থীর এক কর্মী দেবেন। ওই রিকশায় আনারস প্রতীকের পোস্টার লাগানো ছিল।
রিকশাচালক মো. আলী বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটার আনার জন্য তাঁকে বলা হয়েছে। দুপুরে মোরগ-পোলওয়ের ব্যবস্থা আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কেরানীগঞ্জের রামেরকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রেও ভোটারদের জন্য প্রার্থীদের পক্ষ থেকে নানা সুবিধা রাখা হয়েছে। তার পরও সেখানে হাতেগোনা দু-একজন ছাড়া তেমন ভোটার চোখে পড়েনি। ভোটারদের জন্য করা লাইনের সামনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর দুই এজেন্টকে গল্প করতে দেখা গেছে।
পাশে দাঁড়ানো আনারস প্রতীকের প্রার্থী হিমেল হোসেন পলাশ বলেন, ‘দেখলেন তো ভোটার নেই। গণতান্ত্রিক ধারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের আগ্রহ হারিয়ে যাচ্ছে।’ তবে এই নির্বাচনে আনারসের সমর্থন বেশি বলে দাবি করেন তিনি।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেরানীগঞ্জ উপজেলায় ২২৫টি কেন্দ্রে ভোটার রয়েছেন ৬ লাখ ১১ হাজার ৩৭০ জন। দুপুর ১টা পর্যন্ত এ উপজেলায় প্রায় ২৫ শতাংশ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। দুপুর পর্যন্ত কোথাও বিশৃঙ্খলার তথ্য পাইনি।’