ঢাবি প্রতিনিধি
রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরােধ করে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সাত কলেজের একদল শিক্ষার্থী। সিজিপিএর শর্ত শিথিল করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ তিন কোর্স পর্যন্ত মানোন্নয়নসহ পরবর্তী বর্ষে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ চান তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টার সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। আজিমপুর-সায়েন্সল্যাব রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। একাধিকবার রাস্তা থেকে শিক্ষার্থীদের সরে যেতে অনুরোধ করেছে আইনশৃঙ্খল বাহিনী। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের সমন্বয়ক মোখলেছুর রহমান রবিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক দফা দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন করে যাচ্ছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সাত কলেজের সমন্বয়কের পক্ষ থেকে শুধু আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে কিন্তু কোনো কিছুর বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
আমরণ গণ-অনশনের ঘোষণা দিয়ে নীলক্ষেত অবরোধ কেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে রবিন বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে।
পুলিশের অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে নিউমার্কেট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল গণি সাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। নীলক্ষেত অবরোধ করে জনভোগান্তি সৃষ্টি করছেন। বিষয়টি আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি, তারা (বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন) তাঁদের দাবির বিষয়ে দেখবে।’ তবে জনভোগান্তি এড়াতে পুলিশ প্রশাসন পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান ওসি।
উল্লেখ্য, দাবি আদায় করতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। ১৭ আগস্ট রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁরা। পরবর্তী সময়ে একটি প্রতিনিধিদল ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ ও অধিভুক্ত সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে গত রোববার বেলা ১১টা থেকে গণ-আমরণ অনশনের ঘোষণা দিলেও বিকেল ৪টার সময় কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। আজ আবার আমরণ গণ-অনশনের ঘোষণা দিয়ে নীলক্ষেত অবরোধ করেন তাঁরা।