Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > ঢাকা

ঐতিহ্যবাহী কুড়িখাই মেলা ঘিরে উৎসবের আমেজ কটিয়াদীতে

সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ 

ঐতিহ্যবাহী কুড়িখাই মেলা ঘিরে উৎসবের আমেজ কটিয়াদীতে

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে গত সোমবার রাতে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী কুড়িখাই মেলা। মেলা উপলক্ষে সেখানে এখন উৎসবের আমেজ। হজরত শাহ শামসুদ্দিন বুখারি (রহ.)-এর মাজারের ওরস ঘিরে এই মেলার আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেয় সর্বস্তরের মানুষ। 

মেলার বড় আকর্ষণ মাছের হাট। এ ছাড়া সাত দিনজুড়ে বেচাকেনা হয় কাঠের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী। সব মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকার বাণিজ্য হয় এই মেলায়। আগামী রোববার শেষ হবে মেলা। স্থানীয়দের ধারণা, মেলার বয়স কয়েক শ বছর। এই মেলার বিশেষ আকর্ষণ শেষ দুই দিনের বউ মেলা। ওই দুই দিন এলাকার নারীরা মেলায় গিয়ে কেনাকাটা ও আনন্দ করেন। সবকিছুতে থাকে নারীদের প্রাধান্য। নাইওর আসছেন গ্রামের মেয়েরা। এদিকে সাত দিনের মেলার প্রথম দিন সোমবার থেকেই নেমেছে মানুষের ঢল। 

জনশ্রুতি রয়েছে, ১২২৫ সালে হজরত শাহ শামসুদ্দিন বুখারি তিন সহচর শাহ নাছির, শাহ কবীর ও শাহ কলন্দরকে সঙ্গে নিয়ে ইসলাম প্রচারের জন্য কটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের কুড়িখাইয়ে আস্তানা স্থাপন করেন। তিনিই এ অঞ্চলে ইসলাম ধর্মের প্রথম প্রচারক। তাঁর মৃত্যুর পর ভক্তরা মাজার ঘিরেই কুড়িখাই মেলার প্রবর্তন করেন। এই কুড়িখাইয়ে প্রতি বছর মাঘ মাসের শেষ সোমবার সাত দিনব্যাপী ওরস উপলক্ষে মেলা শুরু হয়। 

শুধু কটিয়াদী নয়, জেলার বিভিন্ন এলাকাসহ আশপাশের নানা জেলা থেকে লোকজন আসছে মেলায়। ওরস ঘিরে এমন মেলা ও উৎসব খুব বেশি দেখা যায় না। মেলার মাছের হাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বড় বড় মাছ ওঠে। এসব মাছ চড়া দামে বিক্রিও হচ্ছে।

স্থানীয়দের বিশ্বাস, মেলার বোয়াল মাছ খেলে এ বছরের জন্য বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তাই বোয়াল মাছের দিকে সাধারণ মানুষের চোখ থাকে বেশি। তবে শুধু বোয়াল নয়, সব ধরনের বড় মাছই মেলায় পাওয়া যায়। মূলত দাওয়াতি জামাইরাই এসব মাছের মূল ক্রেতা। তাঁরা শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে খুশি করতে বড় মাছ কেনেন। 

মেলায় বসেছে মাছের বাজার। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দৃশ্য। ছবি: আজকের পত্রিকাকুড়িখাই গ্রামের এক থেকে দেড় কিলোমিটার এলাকায় মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন দোকানপাট বসেছে। কাঠের আসবাবপত্র, খেলনা, দৈনন্দিন পণ্যসামগ্রী, মেয়েদের সাজগোছের জিনিস থেকে শুরু করে মুড়ি, মিষ্টি, খইসহ এমন কিছু নেই, যা মেলায় ওঠেনি। এ সবই দরদাম করে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা। 

আছে পুতুলনাচ, সার্কাস, মোটরসাইকেল রেস, নাগরদোলাসহ আরও বেশ কিছু আয়োজন। এসব দেখে শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও আনন্দ পাচ্ছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই মেলা। 

মেলা উদ্‌যাপন কমিটির সদস্য মঈনুজ্জামান অপু বলেন, মাজার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান। মেলার দোকান বরাদ্দ থেকে যে আয় হয়, তা ব্যয় করা হয়ে থাকে মাজার ও স্থানীয় মসজিদের উন্নয়নকাজে। 

কুড়িখাই মেলা উদ্‌যাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সহকারী কমিশনার (ভূমি) তামারা তাসবিহা জানান, প্রায় ৪০০ বছর ধরে কুড়িখাই মেলাটি হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই মেলা এখন সর্বজনীন উৎসব ও ঐতিহ্যে রূপ নিয়েছে।

শিক্ষার্থীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ, জবি রেজিস্ট্রারকে পদত্যাগে আলটিমেটাম

ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার তানভীর ইমন সাময়িক বরখাস্ত

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক ঢুকে গেল বসতঘরে, প্রাণ গেল ঘুমন্ত নারীর

ভবিষ্যৎ স্থপতিদের অনুপ্রাণিত করতে ‘কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড’

বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স, ক্ষমাপ্রার্থী উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

আওয়ামী লীগের ‘ঝটিকা মিছিল’ ঠেকাতে গ্রেপ্তার ১১

রানা প্লাজা ধসের এক যুগ: নিহত শ্রমিকদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা

নতুন প্রকল্প গ্রহণে দাতা সংস্থার পরামর্শের অন্ধ অনুসরণ নয়: টিআইবি

আদালতে কান্না তুরিনের, ক্ষোভ প্রকাশ শাজাহানের

বুয়েটে প্রথমবারের মতো রিনিউয়েবল এনার্জি ফেস্ট