অনলাইন ডেস্ক
হাতে পতাকা, চোখে সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন। শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধরা অংশ নেন পদযাত্রায়। হাতে হাত রেখে, কণ্ঠে মুক্তির গান গেয়ে সবাই রোদের মধ্যে হেঁটেছেন শোক থেকে শক্তির পথে।
নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পর্বতারোহী সংগঠন অভিযাত্রী শহীদ মিনার থেকে স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত ১০ম বারের মতো পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গত রোববার ভোর ৬টায় জাতীয় সংগীত গেয়ে এবং ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে পদযাত্রীরা যাত্রা শুরু করেন। অভিযাত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজনে এই পদযাত্রার স্লোগান ছিল ‘শোক থেকে শক্তি: অদম্য পদযাত্রা’। এবারের পদযাত্রায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সের ও পেশার প্রায় শতাধিক পদযাত্রী অংশ নেন।
স্মৃতি চিরন্তনীতে পদযাত্রীরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর নিউমার্কেট, সিটি কলেজের পথ হয়ে মোহাম্মদপুরের শারীরিক শিক্ষা কলেজে পৌঁছান। শারীরিক শিক্ষা কলেজ থেকে পদযাত্রীরা রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে পৌঁছান। সেখান থেকেই অভিযাত্রীরা যান বসিলায়। আগে থেকেই সেখানে অপেক্ষায় থাকা নৌকায় উঠে প্রায় ৩২ কিলোমিটার নৌপথে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, ধলেশ্বরী ও বংসাই পাড়ি দিয়ে বংসাই শ্মশান ঘাটে পৌঁছান অভিযাত্রীরা। সেখান থেকে গোপীনাথপুর, চারিগ্রামের পথ ধরে বিকেল ৫টার দিকে পৌঁছান জাতীয় স্মৃতিসৌধে। সেখানে নীরবে কিছুক্ষণ অবস্থান করে শহীদদের স্মৃতিকে স্মরণ করে পদযাত্রীরা নেন তারুণ্যের দৃপ্ত শপথ। শপথ বাক্য পাঠ করান এভারেস্টজয়ী প্রথম বাংলাদেশি নারী নিশাত মজুমদার।