নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অসহযোগ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ঢাকা আইনজীবী সমিতি দখলে নিয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। আজ মঙ্গলবার তাঁরা ঢাকা আইনজীবী সমিতির বিভিন্ন দপ্তর দখল করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৯টার আগেই বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালতে আসতে শুরু করেন। খণ্ড খণ্ড দলে বিভক্ত হয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে থাকা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, বিভিন্ন কক্ষে থাকা ছবি ও শেখ হাসিনার ছবি খুলে ভাঙচুর করেন। পরে সেগুলো আইনজীবী সমিতির সামনে এনে জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেন।
একপর্যায়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ ও কার্যকরী কমিটির অন্যান্য সদস্যদের দপ্তরগুলো দখল করে নেন। একই সঙ্গে তালা মেরে দেন। দুপুরের দিকে সভাপতির দপ্তরে সভাপতির আসনে বসেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা মো. খোরশেদ মিয়া আলম।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আরেক নেতা নুরুজ্জামান তপন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবৈধভাবে ভোট চুরি করে ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা ক্ষমতা নেন। এ কারণে সময় এসেছে বিএনপি এবং তার সমমনা দলের আইনজীবীরা বারের বিভিন্ন দপ্তর দখল করে নিয়েছেন।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির গত নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন শামসুজ্জামান দিপু। তিনি জানান, আইনজীবী সমিতি দখল করে নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি বাকি মেয়াদে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এদিকে শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে মিছিল করেন বিএনপিপন্থী ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। সকাল থেকে মিছিল নিয়ে তাঁরা আদালতের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করেন। পরে এক সমাবেশে তাঁরা শেখ হাসিনার ফাঁসি দাবি করেন।
বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি অপসারণ, বিচারকদের খাস কামরা ও এজলাস থেকে সকালেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অপসারণ করা হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকার কোনো আদালত কক্ষে বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার ছবি নেই।
কর্মচারীরা জানান, সরকার পরিবর্তন হওয়ায় তাঁরা বিচারকদের নির্দেশে ছবি অপসারণ করেছেন। বিচারকদের খাস কামরার ছবিও অপসারণ করা হয়েছে।