তাইওয়ানের কাছে সমুদ্রে সিঙ্গাপুরের জাহাজে বাংলাদেশি নাবিক আব্দুর রহমান হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। লাশ দেশে আসার পর ঢাকা বিমানবন্দর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। তবে নিহতের ভাই হত্যা মামলা করতে চাইলে তা গ্রহণ করেনি পুলিশ।
তাই বিষয়টি নিয়ে রিট করেন নিহতের বড় ভাই হালিমুর রশিদ। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিমানবন্দর থানাকে এজাহার গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নিহতের লাশ ৪০ দিন রাখার পর দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ময়নাতদন্ত না করেই দেশে ফেরত পাঠায়। তবে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্তে আঘাতের আলামত থাকায় এটিকে নরহত্যা বলে অভিমত দেওয়া হয়। বিমানবন্দর থানা অপমৃত্যুর মামলার তদন্ত শেষ করে নিয়মিত হত্যা মামলা না করায় নিহতের বড় ভাই এজাহার দাখিল করেন। কিন্তু থানা সেই মামলা নিতে বারবার অস্বীকৃতি জানালে রিট করা হয়। আদালত এজাহার গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’
নিহতের ভাই হালিমুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনার সময় ভাইকে জাহাজে মারা হয়েছিল। পরে ওই জাহাজ দক্ষিণ কোরিয়া যায়। সেখান থেকে লাশ দেশে পাঠানো হয়।’