মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীর ভাইকে আশুলিয়া থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাঁকে পুলিশে দেওয়া হয়।
আটক ওই ব্যক্তির নাম টিয়া বাবু। তিনি সাভার পাথালিয়া ইউনিয়নের রাঙামাটি এলাকার বাসিন্দা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ল্যাব সহকারী মো. মাহফুজের ভাই।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশ কয়েক দিন ধরে এলাকায় মাদকবিরোধী প্রচার চালিয়ে আসছিল এলাকার কিছু যুবক। গতকাল মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে মাদক বিক্রির সময় মাদক কারবারি মিজানকে হাতেনাতে ধরে ফেলে নাহিদ নামের এক যুবক। তখন মিজান তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে মিজানসহ তাঁর দুই ভাই টিয়া বাবু ও মাহফুজ নাহিদকে মারধর করেন। তখন এলাকাবাসী তিন ভাইয়ের হাত থেকে নাহিদকে উদ্ধার করে।
মারধরের শিকার খালেদ হাসান ওরফে নাহিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এবং মাদক বিক্রির সময় হাতেনাতে মিজানকে ধরে ফেলায় তাঁরা তিন ভাই আমাকে মারধর করেন। এলাকার মানুষজন না এলে তাঁরা হয়তো আমাকে মেরে ফেলতেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাশিদুল আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের রাঙামাটি এলাকায় মারধরের খবর পেয়ে আমরা তৎক্ষণাৎ সেখানে আমাদের টিম নিয়ে উপস্থিত হই। পরে সেখানে গিয়ে জানতে পারি, মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় একজনকে মারধর করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই এবং অভিযুক্ত টিয়া বাবুকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করি। এর বাইরে আমরা জানতে পেরেছি, আমাদের এক কর্মচারী এর সঙ্গে জড়িত। আমরা তাঁকে ডেকেছি কথা বলার জন্য। মাদকের সঙ্গে জড়িত এমন কাউকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাড় দেবে না।’