নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী লাকীসহ ২৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য নিশিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন আদালত। তিনি আরও জানান, তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একটি মামলার সূত্রে এই আবেদন করা হয়েছে।
অন্য যাদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তারা হলেন শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা (কালচারাল অফিসার) আল মামুন, মো. হামিদুর রহমান, বেগম সুদীপ্তা চক্রবর্তী, হাসান মাহমুদ, বেগম বুনা লায়লা মাহমুদ, সহকারী পরিচালক (বাজেট ও প্ল্যানিং) বেগম সামিরা আহমেদ, স্টেজ ম্যানেজার বেগম রহিমা খাতুন, গাইড লেকচারার মো. মাহাবুবুর রহমান, ইন্সট্রাকটর (সংগীত ও যন্ত্র) বেগম মীন আরা পারভীন, ইন্সট্রাকটর (নৃত্য) বেগম প্রিয়াংকা সাহা, যন্ত্রশিল্পী (গ্রেড-৩) নারায়ণ দেব লিটন ও মোহাম্মদ জিয়াউল আবেদীন, নৃত্যশিল্পী (গ্রেড-৩) বেগম লায়লা ইয়াসমিন, বেগম মিফতাহুল বিনতে মাসুক, বেগম আলকা দাশ প্রাপ্তি ও বেগম সুমাইতাহ তাবাসসুম খানম, কণ্ঠশিল্পী বেগম রোকসানা আক্তার রূপসা, আবদুল্লাহেল রাফি তালুকদার, মো. সোহানুর রহমান, বেগম আবিদা রহমান সেতু ও বেগম মোহনা দাস এবং ক্যামেরাম্যান (জনসংযোগ) মো. রুবেল মিয়া।
দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, লিয়াকত আলী লাকীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে শিল্পকলা একাডেমীর অর্থ আত্মসাৎ এর একটি মামলার তদন্ত চলছে।
জানা গেছে, তারা যে কোনো সময় দেশ ত্যাগ করে বিদেশ যেতে পারেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে এবং ঘটনার ন্যায় বিচারের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক সুমিত্রা সেন বাদী হয়ে ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এবং পরিচালক (প্রশাসন) জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরীসহ অন্যরা শিল্পকলা একাডেমিতে কর্মকর্তা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন।
আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের নম্বরপত্রে নম্বর বাড়িয়ে অবৈধভাবে ১০টি পদে ২৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়েছেন। পরে লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের উত্তীর্ণ করে বিভিন্ন পদে নিয়োগদান করে তাদের বেতন ভাতা বাবদ সরকারি তহবিল থেকে নেওয়া ৮ কোটি ২৮ লাখ ৪৯৫ টাকা উত্তোলন করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেন।