নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
উন্নয়নের অপর নাম হলো সম্প্রীতি। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অন্যতম লক্ষ্য হলো সামাজিক সম্প্রীতি। সম্প্রীতি ছাড়া উন্নয়ন টেকসই হয় না। তাই নতুন প্রজন্মকে বহুত্ববাদ, সহনশীলতা এবং সামাজিক সম্প্রীতি সম্পর্কে জানাতে হবে। স্বেচ্ছাব্রতী সংস্থা দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এবং ফ্রিডম অব রিলিজিওন অর বিলিফ লিডারশিপ নেটওয়ার্ক (ফোর্ব) আয়োজিত ‘সামাজিক সম্প্রীতি সংলাপে’ বক্তারা এসব কথা বলেন।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য আরমা দত্ত বলেন, ‘বহুত্ববাদ, সহনশীলতা ইত্যাদি নিয়ে আমাদের আরও বেশি আলাপ-আলোচনা করা দরকার। রাষ্ট্রের কোন দিকটি পরিবর্তন করতে হবে, সেটি আগে বিবেচনা করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে কোনো ভুল তথ্য দেওয়া যাবে না। তাদের সামাজিক সম্প্রীতির ভালো দিক জানাতে হবে।’
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হাঙ্গার প্রজেক্টের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘সম্প্রীতি যদি না থাকে তাহলে উন্নয়ন হয় না। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, সহিংস মনোভাব ত্যাগ করার মাধ্যমে পরস্পরের প্রতি সহমর্মিতা ও শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।’
সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ভোটের আগে ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতিবিদেরা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে। রাজনীতিবিদদের এটি পরিহার করার আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘আমাদের সংবিধানেই বলা হয়েছে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। এর মাধ্যমেই কিন্তু দ্বিতীয় শ্রেণির আরেকটা ধর্মের প্রকাশ পায়। একটা রাষ্ট্রে যখন কোনো ধর্মকে প্রধান করা হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই অপরাপর ধর্মগুলো অপ্রধান হয়ে পড়ে। সংবিধানেই যখন এটা বলা হয়, তখন এর প্রভাব সমগ্র রাষ্ট্রে পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।