নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র এক দিন। প্রতি বছরের মতো এবারও রাজধানীতে বসেছে পশুখাদ্যের অস্থায়ী দোকান। গরুর হাটসহ বিভিন্ন অভিজাত এলাকা কিংবা পাড়া-মহল্লার অলিগলি, ফুটপাতজুড়ে পশুর খাবার ও কোরবানির সামগ্রীর মৌসুমি ব্যবসা এখন তুঙ্গে। সারা বছর অন্য কাজ করলেও গত চার দিন ধরে এসব মৌসুমি ব্যবসায়ী এগুলো বিক্রি শুরু করেছেন। তবে গতকাল শনিবার ও আজ রোববার এসব পণ্যের ব্যবসা তুঙ্গে।
আজ রাজধানীর বনশ্রী, রামপুরা, মহানগর প্রকল্প, সিদ্ধেশ্বরী, ফার্মগেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে রাস্তার মোড়ে মোড়ে মিলছে খড়, ভুসি, কাঁঠালপাতা, ঘাস ইত্যাদি পশুর খাবারসহ মাংস কাটার খাট্টা ও পাটি। একই সঙ্গে, গোশত কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম বিক্রিও বেড়েছে। কামারদের দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতি বানাতে ও ধার দিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ ব্যবসা সাধারণত ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত শ্রমিকেরা করে থাকেন। তবে এসব পশু খাদ্যের দাম চাওয়া হচ্ছে অস্বাভাবিক বেশি।
রাজধানীর বনশ্রী ও রামপুরা এলাকার বিক্রেতারা জানান, কোরবানি ঈদের আগে কয়েকজন মিলে তারা এই ব্যবসা শুরু করেন। রাজধানীর প্রতিটি এলাকাতেই কোরবানির পশুর খাদ্যের চাহিদার ওপর নির্ভর করে বিক্রি হয় ঘাস, খড় ও কাঁঠালপাতা।
বনশ্রীতে রহমত নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, কারওয়ান বাজার থেকে ভুসি, কাঠের পাটাতন ও উত্তরবঙ্গ ও ঢাকার পাশের সাভার ও মানিকগঞ্জ থেকে কাঁচা ও শুকনো খড় আনেন তারা। তিনি জানান, প্রতি কেজি গমের ভুসি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ডালের ভুসি ৭০ টাকা এবং ধানের কুড়া ২০ টাকা কেজি। এ ছাড়া, প্রতি আঁটি খড় ৩০ টাকা, প্রতি আঁটি ঘাস ২০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁঠালপাতার আঁটি ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাংস কাটার জন্য ছোট আকারের গাছের গুঁড়ি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় এবং বড়টি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে।
মহানগর প্রকল্প এলাকার এক ব্যবসায়ী জানান, সাধারণ ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে এসব পশুখাদ্য আনা হয়। দাম কিছুটা বাড়তি হওয়ার কারণ হচ্ছে, দূর থেকে এসব আনতে পরিবহন খরচ বেশি হচ্ছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, এবার সারা দেশে এক কোটি ৭ লাখ পশু কোরবানি হবে। এর প্রায় অর্ধেক পশুই কোরবানি হবে রাজধানী ঢাকাতে।