চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আজ মঙ্গলবার উপজেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু কুয়াশা ও তীব্র শীতের মধ্যে খোলা ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়।
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়ার কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী সীতাকুণ্ডের সব মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা আজ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা আলম সরকার। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ না থাকায় উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুচ্ছোফা।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, কোনো ধরনের নির্দেশনা না পাওয়ায় ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রায়ও তাঁরা যথানিয়মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেছেন। তীব্র শীতের কারণে কাঙ্খিত শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হলেও যারা এসেছে তারা শীতে কাঁপছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কারণে উপজেলার সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকায় বিদ্যালয়ে আসা অধিকাংশ শিক্ষার্থীর অভিভাবকই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, একদিকে ঘন কুয়াশা, অন্যদিকে হাড় কাঁপানো শীত পড়েছে। কিন্তু শিক্ষা কর্মকর্তার কোনো ধরনের নির্দেশনা না থাকলেও মানবিক কারণে তাঁরা বিদ্যালয়ে আসা ছোট শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের সঙ্গে বাড়িতে ফেরত পাঠিয়েছেন।
সীতাকুণ্ডের মছজিদ্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সীতাকুণ্ডের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার বিষয়টি তাঁরা অবগত রয়েছেন। তবে বিদ্যালয় বন্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না পাওয়ায় প্রতিদিনের মতো আজও বিদ্যালয় খোলা রেখেছেন।
অন্যদিকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা আলম সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় উপপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি উপজেলার সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলোর পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছেন।
সীতাকুণ্ড আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজ সীতাকুণ্ডের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি মৌসুমে সীতাকুণ্ডের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তীব্র শীতের পাশাপাশি আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন রয়েছে। আগামী কয়েক দিন সীতাকুণ্ডের তাপমাত্রা আরও নিচে নামতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শৈত্যপ্রবাহের কারণে তাপমাত্রা কমে গেলে বিদ্যালয় বন্ধ রাখার বিষয়ে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে কোনো ট্যাগ করা হয়নি। তাই বিদ্যালয় খোলা বা বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। তাপমাত্রা কমে গেলে বিদ্যালয় বন্ধ রাখার বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। তার পরও বিষয়টি নিয়ে তিনি শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলবেন।