ঈদে ঘরমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ও লঞ্চঘাটে। গতকাল সোমবার দুপুর থেকে ভিড় দেখা গেলেও আজ মঙ্গলবার ভোর থেকেই ভিড় কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এদিকে লঞ্চ পারাপারে যাত্রীদের চাপ থাকায় ফেরিতে তাঁদের পারাপার করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে পাটুরিয়া ফেরি ও লঞ্চঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘাট এলাকা যানজটমুক্ত রাখতে যাত্রীদের লঞ্চঘাট থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে যাত্রীদের প্রায় আধা কিলোমিটার হেঁটে লঞ্চ ও ফেরিতে উঠতে হচ্ছে। এদিকে ফেরি পারাপারে লোকাল বাসের যাত্রীদের চাপ বেশি দেখা গেছে।
পোশাককর্মী আওয়াল বলেন, ‘আশুলিয়ায় গার্মেন্টসে চাকরি করি। আজ বাইপাইল হয়ে নবীনগর থেকে লোকাল গাড়িতে ঘাটে আসছি। গাড়ির ভিড় না থাকলেও যাত্রীর উপচে পড়া ভিড় হইছে।’
জিরানী থেকে ঘাটে এসেছেন আরেক পোশাককর্মী আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জিরানী থেকে নবীনগর হয়ে আসছি। নবীনগর থেকে যাত্রীর মেলা চাপ। অনেক কষ্টে ঘাট পর্যন্ত আসছি।’
পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের তত্ত্বাবধায়ক পান্না লাল নন্দী বলেন, ‘যাত্রীরা লোকাল বাসে করে ঘাটে এসে ফেরি ও লঞ্চে পার হচ্ছেন। অনেকে লঞ্চে উঠতে না পেরে ফেরিতে পদ্মা ও আরিচা ঘাটে যমুনা নদী পার হতে বাধ্য হচ্ছেন।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ খালেদ নেওয়াজ বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ১৫টি ফেরিতে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। পাটুরিয়ায় ২২টি লঞ্চ এবং আরিচা-কাজীরহাট নৌ-রুটে ৫টি ফেরি ও ১০টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঘাট এলাকায় ভিড় থাকলেও এবার যানজট নেই। লঞ্চ পারাপারে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়ের কারণে তাদেরও ফেরিতে পারাপার করা হচ্ছে।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নবীনগর থেকে পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাট পর্যন্ত হাজারো পুলিশ, র্যাব, আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।