শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে নিজ ঘরে এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের বাড়ৈ জঙ্গল গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম মুক্তা বেগম (৫০)। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল মান্নান গাজীর স্ত্রী। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। আজ বুধবার সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী থাকতেন। ছেলে মালয়েশিয়াপ্রবাসী আর মেয়ে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় থাকেন। বাড়িটির আশপাশে ২০০ মিটারের মধ্যে অন্য কোনো বাড়িঘর নেই। গতকাল রাতে আব্দুল মান্নান মসজিদে তারাবির নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরে দেখেন তাঁর স্ত্রীর গলাকাটা লাশ খাটের ওপর পড়ে রয়েছে। পরে মান্নানের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয় যে গ্রামে ডাকাত পড়েছে।
আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমার কোনো শত্রু নাই। কে আমার সর্বনাশ করল বলতে পারছি না। আমার ঘর থেকে কিছু চুরি হয়েছে কি না, তা–ও বলতে পারছি না। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।’
এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ হাসান সেলিম বলেন, ‘নিজ ঘর থেকে মুক্তা বেগম নামের এক নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। সিআইডির ক্রাইম সিন ঘটনাস্থলের আলামত সংগ্রহ করেছে। ডাকাতির ঘটনা বলে যে প্রচার চালানো হয়েছে, সেটা এখনো আমরা নিশ্চিত নই। তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে।’