মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে কৃষকের গোয়ালে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ২৫ মণ ওজনের ‘টাইগার’। উপজেলার চালা ইউনিয়নের রাজরা লাউতা গ্রামের নিজ বাড়িতে টাইগারের দেখাশোনা করেন কৃষক আব্দুল রাজ্জাক ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম। ষাঁড়টির দাম চাওয়া হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। তাঁদের দাবি এটি উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু। টাইগারকে দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন এলাকাবাসী।
লাল রঙের শাহীওয়াল জাতের ৪০ মাস বয়সী ষাঁড়টিকে শখের বসেই নাম রেখেছেন ‘টাইগার’। নামটিও রাখা আদর করে। ২৫ মণ ওজনের ‘টাইগার’কে বিক্রির জন্য ১৫ লাখ টাকা চাইছেন রাজ্জাক।
রাজ্জাকের স্ত্রী শেফালী বেগম বলেন, ‘এক বছর ধরে প্রতি মাসে টাইগারের পেছনে আমার ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত এক বছরে খাবার বাবদ প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সম্পূর্ণ ভেজালমুক্ত খাবার দিয়ে গরুটাকে এত বড় করেছি।’
খাবার তালিকায় এক বছরে ৬০০ বস্তা ছাঁটাই ছিল। এ ছাড়া ছোলা, পায়রা, খড়, ভুসি, তাজা ঘাস, ভুট্টা ছিল। কোনো ধরনের ভেজাল (রাসায়নিক খাবার) খাওয়ানো হয়নি।
রাজ্জাক বলেন, ‘টাইগারকে প্রতিদিন ১ হাজার টাকার খাবার খাওয়াই। গত কোরবানি ঈদের ৪ দিন আগে ৪ লাখ পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি। নিয়ম করে দুই বেলা শ্যাম্পু দিয়ে টাইগারকে গোসল করানো হয়। টাইগারের মেজাজ ঠান্ডা রাখতে বাতাস করা হয় বড় দুটি ফ্যান দিয়ে। টাইগারকে এক নজর দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমান বিভিন্ন এলাকার মানুষ। আজ রাতে ঢাকার গাবতলি হাটে নিয়ে যাব টাইগারকে।’
হরিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার বড় ষাঁড়টি ভালো দামে বিক্রি করতে পারলে লাভবান হবে খামারি। আমরা নিয়মিত খামারির বাড়ি যাই ও খামারিকে পরামর্শ দিচ্ছি।’