রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, ‘রেলের টিকিট ছাড়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। যাঁরা যাত্রী তাঁরা টিকিট পান না। আগামী রোজা ও ঈদে রেলের যাত্রীদের টিকিট পাওয়া অনেক সহজ হবে।’
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রেলের টিকিটের কালোবাজারি একটা বিরাট সিন্ডিকেট। এতে বাইরের লোক, আমাদের রেলের লোক ও যারা টিকিটের দায়িত্বে আছেন তাঁদের লোকজন জড়িত।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর পাংশা সরকারি জর্জ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রেলমন্ত্রী। তাঁর নির্বাচনী এলাকায় এই আগমন উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাজবাড়ীর পাংশা, কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলা মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।
এ সময় রেলমন্ত্রী বলেন, ‘ট্রেনের সমস্ত টিকিট এজেন্সি ও রেলের কর্মকর্তাদের নিয়ে মিটিং করেছি। রেলের যেসব বাহিনী আছে, তাদের সম্পৃক্ত করে একটি কমিটি করে দিয়েছি—এই কালোবাজারিদের ধরার জন্য। ইতিমধ্যে দুটি গ্রুপ ধরা পড়েছে।’ তিনি আশা করেন আগামী রোজা ও ঈদের মধ্যে রেলের যাত্রীদের টিকিট পাওয়া অনেক সহজ হবে।
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিছিয়ে পড়া রেলকে টেনে ওপরে তোলার দায়িত্ব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ভিশন প্রতিটি জেলাতে রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা সংযুক্ত করা।’ প্রধানমন্ত্রীর ভিশনকে বাস্তবায়ন করতে ইতিমধ্যে তিনি কাজ শুরু করেছেন বলে জানান।
এ ছাড়া ট্রেনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার, ট্রেনের মালামাল চুরি বন্ধ, ট্রেনের ক্যাটারিংয়ে মানসম্মত খাবার পরিবেশন, ট্রেন পরিষ্কার রাখা, নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ের কথা বক্তব্যে তুলে করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাংশা, কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলা মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও হোগলাডাঙ্গী এম আই কামিল মডেল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মীর আব্দুল বাতেন।
অনুষ্ঠানে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম শফিকুল মোরশেদ আরুজ, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদ হাসান ওদুদ, কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটো, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, পাংশা পৌর মেয়র ওয়াজেদ আলী মণ্ডল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও-ভারপ্রাপ্ত) মো. মাসুদুর রহমান রুবেল, পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার, পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার সাইফুল ইসলামসহ (বুড়ো) অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলা মাদ্রাসাশিক্ষক, কর্মচারীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন।