পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে পল্টন থানার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। আর এই সময় পর্যন্ত তাঁরা মুক্তির জন্য জামিননামা দাখিল করতে পারবেন না বলে আদেশ দেন।
গত মঙ্গলবার বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাঁদের ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে তাঁদের স্থায়ী জামিন কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। পরে ওই জামিন স্থগিত চেয়ে বুধবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
আজ জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বিচারিক আদালতে চার দফায় জামিন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর গত সোমবার উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করেন বিএনপির শীর্ষ এই দুই নেতা। পরে মঙ্গলবার তাঁদের জামিন দেন হাইকোর্ট।
গত ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে নিজ বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন তাঁদের আদালতে হাজির করলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হন অনেকে। এসময় বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল-ডাল, পানি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায় বলে দাবি করে পুলিশ।
ওই ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়। পল্টন থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। তবে এ মামলার এজাহারে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না।