জামালপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা আজম ও ফরিদপুর-৪ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরীসহ (নিক্সন চৌধুরী) চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
অন্য দুজন হলেন নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রী তারিন হোসেন ও আওয়ামী লীগ নেতা এবং সাবেক সংসদ সদস্য ডাক্তার এইচ বি এম ইকবালের ছেলে ও প্রিমিয়াম প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মঈন ইকবাল।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।’
মির্জা আজম, নিক্সন চৌধুরী ও তারিন হোসেনের নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে এবং নামে বেনামে দেশ-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আই বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এসব অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলছে।
মঈন ইকবালের নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ আতাউল কবির। আবেদনে বলা হয়েছে, মঈন ইকবাল বিভিন্ন ব্যাংক থেকে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ২৬০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন, যা দুদকে অনুসন্ধান চলছে।
প্রত্যেকের আবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে অভিযুক্তরা যে কোনো সময় দেশত্যাগ করতে পারেন। তারা দেশত্যাগ করলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে এবং দীর্ঘায়িত হতে পারে। এ কারণে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।
শুনানি শেষে আদালত আদেশ দিয়ে আদেশের অনুলিপি অতিরিক্ত পুলিশ মহা পরিদর্শক, বিশেষ শাখাকে (এসবি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠাতে নির্দেশ দেন।