শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার ত্রাণ সহায়তা পেতে ৩৩৩ নম্বরে বহুবার চেষ্টা করেছিলেন এক দিনমজুর। কিন্তু ওপাশ থেকে কোনো সাড়া পাননি তিনি। এই লকডাউনের মধ্যে আয়–উপার্জন বন্ধ। সরকারি সহায়তা না পেলে তাদের না খেয়ে থাকতে হবে! এই ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন দরিদ্র মোশারফের মতো অনেকেই।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সারা দেশে চলছে কঠোরতম বিধিনিষেধ। এ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের জন্য জরুরি ত্রাণ সহায়তা পেতে সরকার চালু করেছে ৩৩৩ নম্বর।
কিন্তু এই নম্বরে অনেক চেষ্টা করেও সংযোগ পাননি মোশারফ বাঘা। ডামুড্যা বাজারের ফুটপাতের দোকানি মোশাররফ বাঘা অভিযোগ করে বলেন, ঈদের আগে ৩৩৩ নম্বরে বহুবার ফোন দিয়েও পাইনি কোনো খাদ্য সহায়তা। এরপর সরাসরি ইউএনওর সঙ্গে দেখা করে খাদ্য সহায়তা সংগ্রহ করে আনি।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের একাধিক দুস্থ ত্রাণ প্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিলে কোনোভাবেই সংযোগ পাচ্ছেন না তাঁরা। শুধু বিজি দেখায়। দিনমজুর উজ্জ্বল বলেন, ‘ছার, আমি ৩৩৩ নম্বরে কল দিতে দিতে আত বেতা বানায়া হালাইছি। হের পরেও কতা কইতে পারিনি।’
এ ব্যাপারে ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, ৩৩৩ নম্বরে কল সংযোগ পাওয়া একটু কষ্টসাধ্য। যে কারণে আমার উপজেলায় জরুরি খাদ্য সহায়তা দিতে নতুন একটা কল সেন্টার চালু করি। ওই কল সেন্টারে আমার মোবাইল নম্বর এবং আমার অফিসের একজন কর্মকর্তার নম্বর দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি উপজেলা সব এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে বাজারগুলোতে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। তা ছাড়া আমি যখন যে এলাকায় যাই সঙ্গে করে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের প্যাকেট নিয়ে যাই। আমার উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য মজুত আছে। সুতরাং আমার উপজেলায় একজন মানুষও না খেয়ে থাকবে না।