নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মামলায় রিমান্ড শেষে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ তিন জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অপর দুইজন হলেন-গোলাম দস্তগীর প্রিন্স ও এ বি এম খালিদ হাসান।
বিকেলে সাত দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে রামপুরা থানার সাধারণ নিবন্ধন কার্যালয় সূত্রে একথা জানা গেছে। এর আগে গত ২৭ জুলাই আদালত তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রামপুরা থানার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৮ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা ডিআইটি রোডগামী রামপুরা ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও বিটিভি ভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এরপরই বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশে ও সক্রিয় অংশগ্রহণে অজ্ঞাতনামা তিন-চার হাজার কর্মী দলবদ্ধ হয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
আসামিরা দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বাধা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে বিটিভি ভবনের প্রধান চারটি গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা ভবনের ভেতর ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। এতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ক্ষতি হয় আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা। এ ঘটনায় বিটিভির জেনারেল ম্যানেজার মোছাম্মৎ মাহফুজা আক্তার বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন।