নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিমচন্দ্র ভৌমিক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে। কিন্তু এখন ধর্মীয় বৈষম্য চরম পর্যায়ে রয়েছে।’
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘বৈষম্য বাজেট শিরোনামের’ একটি আলোচনা সভায় এ কথা বলেন নিমচন্দ্র ভৌমিক।
নিমচন্দ্র ভৌমিক বলেন, ‘বাংলাদেশে বিশ্বাসী হলে মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী হতে হবে, মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী হলে জাতীয় চার নীতি মানতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুযোগের সমতা রয়েছে সে জন্য ভারতে সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও শিখ মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী, আদিবাসী দ্রোপদী মুর্মু, মুসলিম এপিজে আবুল কালাম রাষ্ট্রপতি হয়েছেন।’
নিমচন্দ্র আরও বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। গণতন্ত্র চাইলে বাহাত্তরের সংবিধান মানতে হবে, ধর্মনিরপেক্ষতা মানতে হবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নিপীড়ন সম্ভব নয়। বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তানের থেকে এগিয়ে যাচ্ছি।
গণতন্ত্রের বদলে ধর্মীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা হলে পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের মতো মসজিদে বোমা হামলা করবে জঙ্গিরা। এ দেশেও মসজিদে, ঈদের জামাতে হামলা হয়েছে। এ জন্য তামাশা করে লাভ নেই বলে মন্তব্য করেন নিমচন্দ্র।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশ গুপ্ত বলেন, ‘২০০৮ সালের পরে আমরা ভেবেছিলাম আমাদের অবস্থার পরিবর্তন হবে। কিন্তু সেই বৈষম্য দূর হয়নি। যেমন ছিল তেমনই আছে। এই সরকারের মধ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তি দৃঢ়ভাবেই অবস্থান করছে। অসাম্প্রদায়িক একটা চেতনা থেকে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। কিন্তু সেই চেতনা থেকে আমরা ক্রমেই সরে আসছি।’
আলোচনা সভায় জাতীয় রাজস্ব বাজেট থেকে বার্ষিক বরাদ্দ প্রদান করে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ‘ফাউন্ডেশন’-এ রূপান্তরিত করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। পাশাপাশি সকল ধর্মসম্প্রদায়ের জন্যে উন্নয়নের কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারিত করাসহ ৪ দফা দাবির কথা উল্লেখ করেন সংগঠনটির নেতা কর্মীরা।