নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বনানীর সেতু ভবনে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় বনানী থানার মামলায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে ৬ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম তাঁদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিকেলে তাঁদেরকে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু সাইদ মিয়া প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত শনিবার রাত ১টার দিকে আসিফ মাহতাবকে উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের বাসা থেকে ডিবি পরিচয়ে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। আর ২৭ জুলাই দিবাগত রাত ৪টার দিকে আরিফ সোহেলকে তাঁর ভাড়া বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১৮ জুলাই প্রতিদিনের মতো সেতু ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথারীতি অফিসে কাজ করছিলেন। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জন আসামি আন্দোলনের নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতা করার লক্ষ্যে বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে সেতু ভবনের সামনে এসে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
একপর্যায়ে আসামিরা অফিসের মূল ফটক ভেঙে সেতু ভবনের ভেতরে ঢুকে জিপ, কার, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মোটরসাইকেল, নিরাপত্তা ভবন, সিসি ক্যামেরা, পার্কিং শেড, ক্যানটিন, গাড়িচালকদের কক্ষ, আনসার শেড, মুজিব কর্নার, জেনারেটর কক্ষসহ মূল ভবন ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে।
আন্দোলনকারীরা ভবনের ১২ তলা পর্যন্ত ভাঙচুর করে। এ সময় সেতু ভবনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করা হয়। কম্পিউটারসহ মূল্যবান সামগ্রী লুটপাট করে। এ ঘটনায় সেতু ভবনের তত্ত্বাবধায়ক (কেয়ারটেকার) রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলা করেন।