নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তাঁর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। আর তাঁর নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন কার্যালয়ে এই অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। তবে এতে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
অভিযোগ করার পর ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে মুগ্ধর বড় ভাই মীর মাহমুদুর রহমান দীপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্দিষ্ট কারও নাম না উল্লেখ করে শুধু অভিযোগ করেছি। ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সাপেক্ষে যে বা যারা প্রকৃত অপরাধী ও যারা তাদের এই অপরাধ করতে সাহায্য করেছে, তাদের মামলায় অপরাধী হিসেবে নিয়ে আসবেন। আমরা আশাবাদী, সরকার এবং ট্রাইব্যুনাল—আমাদের ন্যায়বিচারের আশা পূরণে সক্ষম হবেন।’
দীপ্ত আরও বলেন, ‘উত্তরা পূর্ব থানার ওসি কিছুদিন আগে থানা থেকে পালিয়ে গেছেন। এটাকে পালিয়ে যাওয়া বলে, না কি ছেড়ে দেওয়া বলে—তা আমরা সবাই বুঝি। এখনো যদি প্রশাসনের এমন অবস্থা থেকে থাকে, তাহলে মনে হয় না, জনগণ আসলে ভরসা পাবে। জনগণের ভরসাস্থলে আসতে গেলে, আমার মনে হয় প্রশাসনের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করা উচিত।’
মুগ্ধর অপর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, ‘মুগ্ধের মৃত্যু নিয়ে একটি বিতর্ক ছিল। গুলিটা পুলিশের মধ্যে থেকে করা হয়েছে, নাকি বাইরে কারও থেকে করানো হয়েছে, বা স্নাইপার থেকে করা হয়েছে কি না। তবে আমাদের কাছে যে প্রমাণাদি আছে, তার মাধ্যমে আমরা বলতেই পারি, পুলিশের পক্ষ থেকে এই গুলি চালানো হয়েছে। আমরা যে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি, সেখানে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে, পুলিশের গুলিতেই মুগ্ধের জীবন গেছে।’