Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > ঢাকা

খালে ময়লা ফেললে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি মেয়র আতিকের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খালে ময়লা ফেললে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি মেয়র আতিকের

খালে ময়লা ফেললে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ ডিএনসিসির নগর ভবনের সামনে সপ্তাহব্যাপী চলমান বর্জ্য প্রদর্শনী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। 

এ সময় বর্জ্যের প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন তথ্য ও সম্প্রচার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। 

ডিএনসিসির আওতাধীন খালে, ড্রেনে ও যত্রতত্র ফেলে দেওয়া বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য সংগ্রহ করে সপ্তাহব্যাপী বর্জ্য প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ডিএনসিসি। ১১ মে থেকে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী ১৭ মে পর্যন্ত চলবে। 

প্রদর্শনী পরিদর্শন শেষে মেয়র আতিক বলেন, ‘জনগণ নির্বিচারে ময়লা ফেলা বন্ধ না করলে শুধু সিটি করপোরেশনের পক্ষে খালগুলো পরিষ্কার রাখা সম্ভব না। আমাদেরও কিন্তু নিজ নিজ দায়িত্ব আছে। দায়িত্বটা হলো নির্দিষ্ট ময়লা যেন নির্দিষ্ট জায়গা যেন ফেলি। নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলা, নিজের শহরকে পরিষ্কার রাখা এটি নাগরিকের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এটি না হলে কিন্তু অল্প বৃষ্টিতেই আমাদের ড্রেনগুলো আটকে যাচ্ছে, খালগুলো আটকে যাচ্ছে। একটা হলো মানুষের পয়োবর্জ্য, আরেকটি হলো কঠিন বর্জ্য। তরল ও কঠিন দুই ধরনের ময়লা ফেলে মানুষ খাল ও ড্রেন দূষণ করছে। অনেক ভবনের পয়োবর্জ্যের সংযোগ সরাসরি সারফেস ড্রেনে ও খালে দিয়ে রেখেছে। কঠিন বর্জ্যগুলো রাতের অন্ধকারে খালে ফেলে দিচ্ছে। এই ধরনের অপরাধ ছাড় দেওয়া হবে না। খালে ময়লা ফেললে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা সারা বছরই কাজ করছি। এ বছর বর্ষার আগেই ৫৪টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রচার অভিযান পরিচালনা করছি। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। যেহেতু এডিস মশা জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে জন্মায় তাই জনগণকে সচেতন হতে হবে। নিয়মিত লার্ভা ধ্বংস করা, সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং এডিসের লার্ভা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ 

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ঢাকায় অল্প বৃষ্টি হলে অনেক সময় পানি জমে যায়। এসব এলাকায় ড্রেনেজ লাইনে বিভিন্ন ধরনের বোতল, চিপসের প্যাকেটসহ অন্যান্য বর্জ্য পড়ে থাকে। খালের মধ্যে জাজিম, সোফা, ফ্রিজ, পানি পরিশোধকসহ বড় বড় পরিত্যক্ত জিনিসপত্র পড়ে থাকে। এর কারণে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এসব বর্জ্য যাতে যত্রতত্র ফেলা না হয়, সে জন্য ব্যাপকভাবে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। 

বর্জ্য প্রদর্শনীতে আরও উপস্থিত ছিলেন—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর আমেনা বেগম, নিলুফার ইয়াসমিন ইতি প্রমুখ।

শ্বশুরকে জামাইয়ের ফোন: আপনার মেয়েকে মাইরা ফেলছি, লাশ নিয়ে যান

শিক্ষার্থীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ, জবি রেজিস্ট্রারকে পদত্যাগে আলটিমেটাম

ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার তানভীর ইমন সাময়িক বরখাস্ত

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক ঢুকে গেল বসতঘরে, প্রাণ গেল ঘুমন্ত নারীর

ভবিষ্যৎ স্থপতিদের অনুপ্রাণিত করতে ‘কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড’

বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স, ক্ষমাপ্রার্থী উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

আওয়ামী লীগের ‘ঝটিকা মিছিল’ ঠেকাতে গ্রেপ্তার ১১

রানা প্লাজা ধসের এক যুগ: নিহত শ্রমিকদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা

নতুন প্রকল্প গ্রহণে দাতা সংস্থার পরামর্শের অন্ধ অনুসরণ নয়: টিআইবি

আদালতে কান্না তুরিনের, ক্ষোভ প্রকাশ শাজাহানের