জাবি সংবাদদাতা
আশুলিয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে শ্রমিক নিহতের প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বেলা ২ টার দিকে তাঁরা অবরোধ তুলে নেয়।
এ সময় সড়কের উভয় লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
গতকাল আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষারকারী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিতে কাউসার নামের এক শ্রমিক নিহত এবং অন্তত ৫ জন আহত হন।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক অবরোধ চলাকালে ‘রাস্তায় শ্রমিক মরে? ইউনূস কি করে?’, ‘পোশাক শ্রমিক রাস্তায় মরে, ইউনূস কি করে?’, ‘ছাত্র-শ্রমিক জনতা, গড়ে তোলো একতা’, ‘হত্যাকারীর গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে’সহ শিক্ষার্থীদের নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
তিনি বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট লং মার্চে অসংখ্য পোশাক শ্রমিকের অংশগ্রহণ ছিল। কাজেই সেই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন সরকারের হাতে, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকেরা খুন হচ্ছে, সেটি আমাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষোভের। আমরা কড়া হুঁশিয়ারি দিতে চাই, সরকার যদি ভাবে শ্রমিকদের দমিয়ে রাখবে, তাহলে দরকার হলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রদের কাফেলা গিয়ে শ্রমিকদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে এবং তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে পাশে থাকবে।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) জাবি শাখার সংগঠক সজিব আহমেদ বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে আশুলিয়ার শ্রমিকেরা বুক পেতে লড়াই করেছে। আজ কেন তাদের বুকে গুলি হলো? ফ্যাসিবাদ মুক্ত রাষ্ট্রে তো আমরা এটা চাই না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি সেই বিশ্ববিদ্যালয় শ্রমিকের টাকায় চলে, আমার শিক্ষকের বেতন হয় শ্রমিকের টাকায়, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ক্রয় করা হয় শ্রমিকের টাকায়। যার কারণে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি শ্রমিকের কাছে দায়বদ্ধ। সেই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমরা শ্রমিকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। এই দায় এই অন্তর্বর্তীকালীন উপদেষ্টা সরকারকে নিতে হবে।’