গাজীপুরের শ্রীপুরে রমজান আলী ভান্ডারি নামের এক শ্রমিক লীগ নেতাকে প্রতিদিন ২০০ টাকা চাঁদা দিতে হয় স্থানীয় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের। আজ বুধবারের চাঁদা রাতে দিতে চাওয়ার জেরে এক অটোচালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাওনা পল্লী বিদ্যুৎ মোড় সিএনজি স্টেশন এলাকায়। ২০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই শ্রমিক লীগ নেতা।
এ দিকে অটোচালককে পেটানোর ঘটনায় আজ দুপুরে মাওনা পল্লী বিদ্যুৎ মোড় সিএনজি স্টেশনের শতাধিক চালক অটোরিকশা চালানো বন্ধ রেখেছেন। তাঁরা শ্রমিক লীগ নেতার বিচার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
রমজানের বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামে। তিনি উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
মারধরের শিকার অটোচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রমিক লীগ নেতা রমজানকে প্রতিদিন ২০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। আজ দুপুরে ২০০ টাকা দাবি করার পর রাতে নিতে বলি। এরপর রমজান ও তাঁর এক সহযোগী আমাকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন। এ সময় পাশের অন্য অটোচালকেরা আমাকে রক্ষা করেন।’
স্থানীয় অটোচালক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘বৃদ্ধ বয়সে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্ট করে টাকা উপার্জন করি। আর এই টাকা তাঁরা বসে বসে ভাগ নেয়। একদিন না দিলেই বকাঝকা-চড়থাপ্পড় খেতে হয়। তাঁরা নেতা এ জন্য ভয়ে প্রতিবাদ করি না। কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধর করা হয়।’
অভিযোগের বিষয়ে শ্রমিক লীগ নেতা রমজান আলী ভান্ডারি বলেন, ‘আমি প্রতি অটোরিকশা থেকে ২০ টাকা করে নেই। ২০০ টাকা নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। আর হাইওয়ে পুলিশের নাম বলে কোনো টাকা নেই না। আজ সামান্য বিষয় নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে। এর জেরে সব চালক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলছে।’
উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক আরজু সরকার বলেন, ‘রমজান আলী ভান্ডারি আমাদের কমিটির সদস্য। তাঁকে পল্লী বিদ্যুৎ স্টেশন থেকে ১০ থেকে ২০ টাকা করে নেওয়ার কথা। কিন্তু ২০০ টাকা করে চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে দেখব। এ ধরনের অভিযোগ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শ্রীপুরের ইউএনও মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘সিএনজি চালকদের অভিযোগগুলো শুনেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’