সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
অসহযোগ আন্দোলনে ঢাকার সাভারে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে কয়েকজন হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। গুলিতে তাঁর মৃত্যুর খবর চাউর হলেও চিকিৎসকেরা তা নিশ্চিত করতে পারেননি। তাঁদের ভাষ্য, নিহত যুবকের পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তা ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া খেয়ে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন অলিগলিতে ঢুকে পড়ে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতেও ভাঙচুর চালায়। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। বিভিন্ন বাড়ির সামনে থাকা সিসি ক্যামেরা ভাঙে তারা। বিভিন্ন বাড়ির গেট ও জানালা ভাঙচুর করতেও দেখা গেছে আন্দোলনকারীদের।
আজ রোববার দুপুর ১২টা থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ও বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের বাইপাইল ত্রিমোড়ে জড়ো হতে থাকে আন্দোলনকারীরা। এ সময় সড়কে আগুন জ্বালিয়ে মিছিল দেয় তারা।
এদিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে দুপুর ১২টায় স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। মিছিল নবীনগর থেকে শুরু হয়ে বাইপাইল যাওয়ার কথা ছিল। তবে বাইপাইল পৌঁছালে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাঁদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ফিরে গেলে পুনরায় বাইপাইল মোড় দখলে নেয় আন্দোলনকারীরা। এ সময় আবারও সড়কে আগুন জ্বালায় তারা। তখন বাইপাইলের পিয়ারলেস হাসপাতাল ভবনে ভাঙচুর করা হয়।
ধামরাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আহমেদুল হক তিতাস বলেন, ‘নিহত ওই যুবকের বয়স ২০-২৫ বছর হবে। আমরা তাঁর পরিচয় পাইনি। তাঁকে মৃত অবস্থায়ই হাসপাতালে আনা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে তাঁর লাশ হাসপাতালে রয়েছে। ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে। তাঁর পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
এদিকে দুপুর থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মূল ফটকের সামনে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনকারীরা। সেখানে সেনাবাহিনীর দুটি টহল গাড়ি পৌঁছালে ছাত্রদের বাধায় ফিরে যায়। তখন কেউ কেউ সেনাবাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে জাবি শিক্ষার্থীরা গাড়িটিকে সুরক্ষা দিয়ে ফিরিয়ে দেন। এ সময় জাবির মূল ফটকের সামনে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাককে দেখা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।