সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা
রাত পোহালেই ঈদ। কাজ শেষে প্রিয়জনদের জন্য সাধ্যমতো কেনাকাটা করে বা না করেই শেষ মুহূর্তে নাড়ির টানে ছুটছেন নগরীর নিম্ন আয়ের মানুষেরা। আজ সোমবার সকাল থেকেই বাস, লঞ্চের মতো ভিড় ছিল কমলাপুর রেলস্টেশনেও। কিন্তু অধিকাংশ যাত্রীই সিট না পেয়ে ক্ষোভ জানাচ্ছেন। যাত্রীদের অভিযোগ, লোকাল ট্রেনের পাঁচটি টিকিট নিলে পাওয়া যাচ্ছে একটি সিট!
আজ দুপুর থেকে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, গতকাল রোববারের চাইতে যাত্রীদের চাপ একটু বেড়েছে। ঈদের পরে বাড়ি যাওয়ার জন্য আন্তনগর টিকিট কাউন্টারগুলোতে ছিল যাত্রীদের লম্বা লাইন। সেখানে ঠিকমতো টিকিট ও সিট মিলছে। তবে ঈদের আগের দিন রেল স্টেশনে এসে বিপাকে পড়েছেন রাজধানীর নিম্নবিত্তরা। লোকাল ট্রেনগুলোর কাউন্টারে যাত্রীদের হুড়োহুড়ি। সেখানে টিকিট পাওয়া গেলেও পাওয়া সিট সোনার হরিণ!
জামালপুরের যাত্রী সিলভিয়া খাতুন বলেন, ‘বাচ্চা-বড়সহ আমরা আটজন। পাঁচটা টিকিট নিছি। সিট দিছে একটা। একটা সিট নিয়া এখন আমরা ক্যামনে যামু?’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যাত্রী ইকবাল হাসান বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৪টায় ট্রেন। ২টায় টিকিট কাটতে আসছি, তাও নাকি সিট নাই। বলতেছে, ১১টায়ই সব সিট শেষ। বাসের ভাড়াও বাড়তি রাখতেছে। দাঁড়ায়াই যাইতে হইবো।’ ময়মনসিংহের আরেক যাত্রী ইউসুফ মিয়া ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘এরা এমনই করে। সিট একটা দিয়া পাঁচটা টিকিট বেচে। এগো কারণেই ট্রেনের ছাদ ভর্তি মানুষ হয়।’
আগামীকাল ঈদের দিন বন্ধ থাকবে সব আন্তনগর ট্রেন। লোকাল ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে চলবে বলে জানিয়েছেন রেল সংশ্লিষ্টরা।
কমলাপুর রেল স্টেশনের এসব সমস্যা দেখার কেউ নেই। আজ দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও স্টেশন মাস্টার বা স্টেশন ম্যানেজার কাউকেই তাঁদের কক্ষে পাওয়া যায়নি। কর্মরত কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁরাও কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ারের দুটি নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।