নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নিরীক্ষামূলক মৃৎশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য এ বছরের ‘মহাত্মা গান্ধী গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড’ সম্মাননা পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের মৃৎশিল্প বিভাগের অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম শেখ। সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় মহাবোধি সোসাইটি মিলনায়তনে এই সম্মাননা দেওয়ার জন্য এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
চারুকলার এই শিক্ষক আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বল্প সময়ে ভিসা না পাওয়ায় পুরস্কার ও সনদ গ্রহণের জন্য ওই অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। সে জন্য আয়োজকেরা পুরস্কার ও সম্মাননা সনদ কাছে পৌঁছে দেবেন।
ভারত বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপনের অংশ হিসেবে ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশন এই অ্যাওয়ার্ড দেয়। সংগঠনটির পক্ষ থেকে সাউথ এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপের পরিচালক গোলাম ফারুক মজনু গত ৮ নভেম্বর আজহারুল ইসলাম শেখকে এক চিঠি দিয়ে এই পুরস্কারের সিদ্ধান্ত ও সম্মাননা গ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।
পোড়ামাটির ফলকে তিনি তুলে ধরেছেন মাটি, মানুষ আর মুক্তিযুদ্ধ-বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের মতো ঐতিহাসিক আন্দোলনের তাৎপর্য ও প্রেক্ষাপট। তার সৃজনশীল উপস্থাপনায় এই শিল্পকলা পেয়েছে আধুনিক থেকে অত্যাধুনিকতার ছোঁয়া। এ ছাড়া তিনি জাতীয় পুরস্কারসহ শিল্পাচার্য সম্মাননা, শিল্পী কামরুল হাসান সম্মাননা, শিল্পী এস এম সুলতান সম্মাননা ও বেশ কয়েকটি গবেষণামূলক সম্মাননা অর্জন করেছেন।
পুরস্কারের বিষয়ে অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম শেখ চঞ্চল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মৃৎশিল্প নিয়ে আমি প্রতিনিয়ত নিরীক্ষাধর্মী গবেষণা করে যাচ্ছি। টেরাকোটা নির্মাণের উপাদন নিয়ে নিরীক্ষা আমার নেশা। প্রতিটি সম্মাননা এবং পুরস্কার আমার সেই সৃষ্টিশীল নেশাকে আরও দায়িত্বশীল করে তোলে। কাজের প্রতি আমার যে আন্তরিকতা তা যদি শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিফলিত হয়, তাহলে আরও আনন্দ লাগে, আরও আপ্লুত হই ৷ এই দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যেতে চাই৷’