Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > ঢাকা

অর্থপাচার মামলায় এনু-রুপনসহ ১১ জনের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অর্থপাচার মামলায় এনু-রুপনসহ ১১ জনের কারাদণ্ড

ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে জড়িত সহোদর এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াকে একটি অর্থপাচার মামলায় সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের ৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। উক্ত টাকা সমানুপাতিক হারে প্রত্যেক আসামিকে পরিশোধ করতে হবে।

আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এই রায় দেন। রায়ে এনু-রুপনের সহযোগী আরও ৯ জনকে একই অপরাধে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অন্য আসামিরা হলেন—এনু-রুপনের তিন ভাই শহিদুল হক ভূঁইয়া, রাশিদুল হক ভূঁইয়া ও মেরাজুল হক ভূঁইয়া, মতিঝিলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকার এবং তাঁদের সহযোগী তুহিন মুন্সী, নবীর হোসেন সিকদার, সাইফুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ ও পাভেল রহমান।

তাঁদের মধ্যে এনু, রুপন, জয় গোপাল, নবীর হোসেন, আজাদ ও সাইফুল কারাগারে আছেন। আসামি তুহিনকে গ্রেপ্তার করার পর তিনি জামিন পান। রায়ের পর তাঁকে কারাগারে নেওয়া হয়। শহিদুল, রশিদুল, মেরাজুল ও পাভেল পলাতক রয়েছেন।

পলাতকেরা গ্রেপ্তারের পর বা আত্মসমর্পণের পর থেকে এই রায় কার্যকর হবে। যাঁরা কারাগারে রয়েছেন তাঁদের কারাবাস বাদ দিয়ে বাকি সময় কারাগারে কাটাতে হবে বলে আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন।

গত ১৬ মার্চ যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ৬ এপ্রিল রায়ের দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু ওই দিন বিচারক ছুটিতে থাকায় রায়ের তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে আদালত মামলার অভিযোগকারীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

গত বছরের ৫ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর আগে ২০২০ সালের ২৬ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) সিআইডির পরিদর্শক সাদেক আলী আওয়ামী লীগের গেন্ডারিয়া ইউনিটের সাবেক সহসভাপতি এনু ও যুগ্ম সম্পাদক রুপনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর র‍্যাব-৩-এর পরিদর্শক মো. জিয়াউল হাসাব বাদী হয়ে এনু ও আজাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে অন্যান্য আসামিকে সম্পৃক্ত করা হয় মামলায়।

এনু ও রুপনের বিরুদ্ধে এর আগে বিভিন্ন থানায় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে আরও ১২টি মামলা হয়। অন্যান্য মামলা বিচারাধীন আছে।

২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর গেন্ডারিয়ার দুই ভাই আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু ও রূপন ভূঁইয়ার আস্তানা থেকে ৫ কোটি টাকা ও আট কেজি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছিল র‍্যাব। এরপর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁদের বাড়ির ভল্টে পাওয়া যায় সাড়ে ২৬ কোটি টাকা, এক কেজি স্বর্ণ, বিদেশি মুদ্রা ও ৫ কোটি টাকার এফডিআর। মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি তাঁদের ১২১টি ফ্ল্যাটের সন্ধান পায়। তাঁদের গেন্ডারিয়ার বাড়ি থেকে ২ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। 

ক্যাসিনো কেলেঙ্কারি সম্পর্কিত পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণের বিচারের দাবিতে ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে মিছিল সমাবেশ

মাগুরার শিশুটিকে দেখতে সিএমএইচে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ধর্ষণের বিচার দাবিতে মধ্যরাতে জাবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ

ঢাবিতে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ ঘোষণা, বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচার দাবি

কেউ করছেন বাজার যাচাই, কারও কেনাকাটা প্রায় শেষ

অস্বস্তি আর ভয়ের ছায়া উন্মুক্ত স্থানগুলোতে

ডেমরায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ভূঞাপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৩

নরসিংদীতে ৬ বছরের শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগ, মাদ্রাসার নিরাপত্তাকর্মীকে গণপিটুনি

যৌন হেনস্তার শিকার শিক্ষার্থীকে দেখতে গেলেন ঢাবি উপাচার্য