টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাসচাপায় শারমিন হক বীথি (৩৫) নামের এক প্রবাসী নারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বীথির মেয়েসহ চারজন। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস বাসস্ট্যান্ডের ওভারব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শারমিন হক বীথি মির্জাপুর সদরের বাইমহাটি গ্রামের ময়নূল হকের মেয়ে। তিনি মেয়েসহ স্বামীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাস করতেন। আহতরা হলেন বীথির মেয়ে আলিজা (৭), বড় ভাই মোস্তাফিজুর রহমান পিলুর মেয়ে পিয়াম, আরেক ভাতিজি মানহা ও অটোরিকশার চালক নয়ন মিয়া। নয়ন পার্শ্ববর্তী দেলদুয়ার উপজেলার শরিফ মিয়া ছেলে।
দুর্ঘটনার তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ খান। তিনি বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি পালিয়ে গেছে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শারমিন হক বীথি দুই মাস আগে মেয়েকে নিয়ে দেশে আসেন। আজ দুপুরে বাইমহাটি তাঁর বাবার বাসা থেকে মেয়ে, বড় ভাইয়ের মেয়ে এবং ভাতিজিকে নিয়ে একটি অটোরিকশায় করে জেলা সদরের ত্রিমোহন এলাকা ঘুরতে বের হন।
পথিমধ্যে মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাসের ওভারব্রিজের কাছে এলে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগতির একটি যাত্রীবাহী বাস অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শারমিন হক বীথি নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের শেখ ফজিলাতুন নেছা হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোটরসাইকেল মেকানিক জালাল মিয়া বলেন, দুপুরের দিকে একটি বাস অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে দ্রুতবেগে টাঙ্গাইলের দিকে পালিয়ে যায়।