পিএইচডি ডিগ্রির স্কলারশিপ নিয়ে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মামুন আল মোস্তফা। মামুন আল মোস্তফা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল কবি জসিমউদদীন হলের আবাসিক শিক্ষক। তবে ২০২০ এবং ২০২১ সালের ডায়েরিতে আবাসিক শিক্ষক হিসেবে তাঁর কোনো নাম নেই কিন্তু ২০১৯ সালের ডায়েরিতে তাঁর নাম রয়েছে।
শিক্ষা ছুটিতে যাওয়ার পরেও তাঁর পরিবার হলের আবাসিক শিক্ষকদের কোয়ার্টারে থাকছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম বহির্ভূত।
জানা যায়, মামুন আল মোস্তফা কবি জসিমউদদীন হলের আবাসিক শিক্ষকদের কোয়ার্টারের চার তলার পূর্বপাশে থাকতেন। বর্তমানে তাঁর পরিবার বাসাটিতে থাকছে। মামুন আল মোস্তফা শিক্ষা ছুটিতে একবার বাংলাদেশে এসে আবার ইংল্যান্ড যান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ডেপুটি রেজিস্ট্রার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক যদি শিক্ষা ছুটিতে অথবা অন্য কোনো ডিগ্রি নেওয়ার জন্য দেশের বাইরে যান তাহলে নিয়ম হলো-তিনি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় যে বাসা রয়েছে সেখানে অবস্থানকারী হয় তাহলে যত দিন তিনি দেশের বাইরে থাকবেন তত দিন তার পরিবার ওই কোয়ার্টারে থাকতে পারবেন। যদি পরিবার না থাকে শুধু মা-বাবা থাকে তাহলে তাঁরা থাকতে পারবে না।’
ডেপুটি রেজিস্ট্রার আরও বলেন, ‘আর কেউ যদি হল কোয়ার্টারে থাকেন তাহলে বিদেশে যাওয়ার আগে হলের বাসার ছাড়পত্র রেজিস্ট্রার অফিসে জমা দিতে হবে। যদি হলের প্রাধ্যক্ষ চান তাহলে সর্বোচ্চ ছয় মাস থাকার নিয়ম বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের আবাসিক শিক্ষকদের বাসা বরাদ্দের নিয়মানুযায়ী, কোনো আবাসিক শিক্ষক যদি টানা তিন মাস দায়িত্ব পালন না করে তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাবেন এবং আবাসিক শিক্ষকের কোয়ার্টারের থাকতে পারবে না।
কবি জসিমউদদীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ বলেন, ‘উনি (মামুন আল মোস্তফা) আমাদের আবাসিক শিক্ষক হিসেবে নেই এটা আমরা এস্টেট অফিসকে জানিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নাকি হলের আবাসিক শিক্ষক হিসেবে তিনি তাঁর পরিবারকে বর্তমানে হলের বাসায় রেখেছেন এটা আমি বলত পারব না।’
এ বিষয়ে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট ম্যানেজার (ভারপ্রাপ্ত) ফাতেমা বিনতে মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে এ বিষয়ে মন্তব্য জানার জন্য মামুন আল মোস্তফাকে ই-মেইল করা হলেও কোনো প্রতি উত্তর তিনি দেননি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষকদের বাসা বরাদ্দের বিষয়টি দেখি। হলের আবাসিক শিক্ষকদের বিষয়টি স্ব স্ব হলের প্রভোস্ট এলোটমেন্ট দিয়ে থাকেন।’