ঢামেক প্রতিবেদক
রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আরমান হোসেন (১৮) নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে যমুনা ফিউচার পার্কের পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আরমান। পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আজ সোমবার সকালে আরমানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় ভাটারা থানা-পুলিশ।
ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকেলে যমুনা ফিউচার পার্কের ভেতরে পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে আরমান নামের ওই যুবক। সেখান থেকে নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আরমানকে মৃত ঘোষণা করেন
এসআই আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিক তদন্তে তার আত্মহত্যা করার পেছনে কোনো কারণ নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে তার মা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ এবং পরিবারটিও অসচ্ছল। এসব কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
এদিকে, আরমানের চাচাতো ভাই মো. রোকন বলেন, ‘আরমানের বন্ধু স্বাধীন বিদেশ যাওয়ার উপলক্ষে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে যমুনা ফিউচার পার্কে যায় গতকাল বিকেলে। সঙ্গে আরমানকে নিয়ে যায়। আরমানকে বাইরে বসিয়ে স্বাধীন ফিঙ্গারপ্রিন্টের দিতে ভেতরে ঢুকে। এর কিছুক্ষণ পর আরমান স্বাধীনকে ফোন দিয়ে বলে, “আমাকে আর পাবি না বন্ধু। আমার মামাতো ভাই রুবেলকে বলিস আমার মাকে দেখে রাখতে।” তারপর ফোন কেটে দেয় আরমান। পরে সে পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে বলে জানতে পেরেছি। তবে কী কারণে সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে সে বিষয়ে আমাদের কিছুই জানা নেই। তবে আরমান উগ্র মেজাজি ছিল। সে মোবাইলে আসক্ত ছিল। প্রতি বছর নতুন মোবাইলের চাহিদা ছিল। কিন্তু তাদের পরিবার এতটা সচ্ছল ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মশাদিয়া গ্রামে। পরিবারের সঙ্গে রামপুরার হাজীপাড়ায় থাকত। আরমান নতুনবাজারে মামা ইলিয়ান তালুকদার রানার ভাতের হোটেলে কাজ করত আগে। তবে বেশ কিছুদিন ধরে বাবা রেনু মিয়ার ভাঙারির দোকানে কাজ করছিল। চার ভাই তিন বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিল আরমান। আরমানের মা বেশ অসুস্থ। বেশ কয়েক দিন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি ছিল। বর্তমানে বাসায় আছে।’