নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মানিকদির ভোটকেন্দ্রগুলোতে সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। এই এলাকার ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আদর্শ বিদ্যানিকেতনে দুটি পুরুষ ও দুটি মহিলা ভোটকেন্দ্র। চারটি কেন্দ্রে মোট ভোটার ১১ হাজার ৯৭০ জন।
সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টায় এই চার কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৯৫৩ টি। মোট ভোটার হিসেবে এই কেন্দ্রগুলোতে প্রতি ঘণ্টায় ২ শতাংশ হারে ভোট পড়েছে। মোট ভোট পড়েছে ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। কেন্দ্রগুলো ঘুরে দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
এসব কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোটারদের কোনো লাইন নেই। ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা অলস সময় পার করছেন। হঠাৎ দু-একজন ভোটার আসছেন। বিশেষ করে নারী ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম।
একটি নারীকেন্দ্রের এক নম্বর কক্ষে প্রথম চার ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১৯টি। এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার কাজী ইমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতি কম। প্রথম চার ঘণ্টায় এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১৫০টির মতো। এই কেন্দ্রে ভোটার আছেন ২ হাজার ৯৮৫ জন।’
এই উপনির্বাচনে নারীদের তুলনায় পুরুষ ভোটারের উপস্থিতি বেশি। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আদর্শ বিদ্যানিকেতনের পুরুষ কেন্দ্র দুটির একটিতে ভোটার ৩ হাজার ২১ ও আরেকটিতে ৩ হাজার ১০। এই দুই কেন্দ্রে চার ঘণ্টায় ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৩৩১ ও ৩১৬টি। একটি কক্ষে সর্বোচ্চ ৭৮টি ভোট পড়েছে।
১৩ নম্বর কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ওয়ালিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম। চার ঘণ্টায় ১০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে।’
তবে ভোটার উপস্থিতি কম থাকায় কেন্দ্রে আসা ভোটারেরা নির্বিঘ্ন ও ঝামেলাহীনভাবে ভোট দিতে পারায় সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। বেলা দেড়টায় ১৩ নম্বর কেন্দ্র থেকে ভোট দিয়ে বের হয়েছেন মোহাম্মদ আলী ও মোছা. হোসনে আরা দম্পতি।
ভোটের সার্বিক পরিবেশ জানতে চাইলে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ভোট দিতে পেরেছি, খুব ভালো লাগছে। অনেক আনন্দ হচ্ছে, কোনো ঝামেলা নেই।’
হোসনে আরা বলেন, ‘ব্যালটে ভোট দিয়েছি। কোনো ঝামেলা হয়নি। ভোটার কম থাকায় লাইনেও দাঁড়াতে হয়নি। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতা ভালো।’
তবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভোটার নয় এমন ব্যক্তি ও নৌকার সমর্থকদের শোডাউন বেশি চোখে পড়েছে। এমন জমায়েতকে ভালোভাবে দেখছেন না ভোটারেরা।
মো. সোলেমান নামে একজন ভোটার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন্দ্রের ভেতরে পরিবেশ ভালো। তবে কেন্দ্রের বাইরে নৌকার সমর্থক ও ভোটার নয় এমন লোকের আনাগোনা অনেক বেশি। এটা নিয়ে সংশয় জাগে। যেহেতু ভোট চলছে, তাই যেকোনো সময় যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।’