সাংবাদিক সৈয়দ আশফাকুল হকের ‘বাসভবন থেকে পড়ে’ কিশোরী গৃহকর্মী প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুর ঘটনাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। গৃহকর্মী কীভাবে মারা গেল সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। আইনের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত করে বের করা হবে। এ বিষয়ে দোষী কেউ থাকলে তাঁকে ছাড় দেওয়া হবে না।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আজ সোমবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন। আজ দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে গোয়েন্দা বিভাগের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলাটি মোহাম্মদপুর থানায় হয়। বর্তমানে মামলাটি আমাদের ডিবি তেজগাঁও বিভাগে এসেছে। আসামিরা রিমান্ডে ছিলেন। রিমান্ড শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গৃহকর্মী কীভাবে মারা গেল সে বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত চলছে। আইনের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত করে বের করা হবে। এ বিষয়ে দোষী কেউ থাকলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসা থেকে পড়ে মারা যায় মৌলভীবাজারের এক চা শ্রমিকের মেয়ে প্রীতি উরাং।
এ ঘটনায় পরদিন তার বাবা লোকেশ উরাং বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় সাংবাদিক আশফাকুল হক ও তাঁর স্ত্রী তানিয়া খন্দকারকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার পর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ করে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।