বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের তার কেটে ফেলায় কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, মিঠামইন ও ইটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭৪ হাজার গ্রাহক ১০ ঘণ্টা অন্ধকারে ছিল। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সকালে বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়।
গতকাল রাত দেড়টার দিকে মিঠামইন বিভাগীয় অফিসের কারিগরি ইউনিট সমস্যা অনুসন্ধানে নেমে দেখতে পায়, কিশোরগঞ্জ-মিঠামইন বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের মিঠামইন ঘোড়াউত্রা নদীর পশ্চিম তীরে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সরবরাহের সাবমেরিন কেব্ল কেটে ফেলা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সংঘবদ্ধ চোর চক্র মূল্যবান তার কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তার চুরি করা সম্ভব হয়নি। গত জানুয়ারি মাসেও একইভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ তার চুরির চেষ্টা করা হয়েছিল।
তিন উপজেলায় বিদ্যুৎ না থাকায় স্থানীয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা, হাসপাতাল, অটোরিকশা চার্জসহ অন্য কাজে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েন অটোরিকশাচালকেরা। রাতে যানবাহনে চার্জ দিতে না পারায় সড়কে বের হতে পারেননি তাঁরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে থেকে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) কারিগরি ইউনিট বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করে। আজ দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কাজ করছে মিঠামইন বিভাগীয় অফিস।
মিঠামইন বিভাগীয় অফিসের অধীনে অষ্টগ্রামে প্রায় ২৯ হাজার, মিঠামইনে ২৫ হাজার ও ইটনায় (আংশিক) ২০ হাজার গ্রাহক রয়েছে।
মিঠামইন পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগীয় অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফাখরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দ্বিতীয় দফায় গতকাল বুধবার ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের সাবমেরিন কেব্ল চুরির চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় প্রায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। পরে বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়। মূল লাইন স্বাভাবিক করার কাজ চলছে।