রেলের টিকিট কালোবাজারির ঘটনায় চক্রের ‘হোতা’ সহজ ডটকমের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম রেজা ও তার সহযোগী মো. এমরানুল হক সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক ফ ম শাহ জাহান আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আজ সোমবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্রে একথা জানা গেছে। এই আদালতের অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবীর বাবুল আজকের পত্রিকাকে জানান, ইঞ্জিনিয়ার রেজাউলসহ দুইজনে রেলওয়ে টিকিট কালোবাজারে সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সম্প্রতি দেওয়া চার্জশিট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা না পাওয়ায় আসামি সোহানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সহজ ডটকমের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম গত ৬ বছর ধরে কমলাপুর টিকিট সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ইঞ্জিনিয়ার হওয়ায় হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকের সঙ্গে ট্রেনের টিকিট বিক্রয় সংক্রান্ত কথোপকথনের মাধ্যমে টিকিট বিক্রয় করেছিলেন। তাছাড়া তিনি অবৈধ উপায়ে টিকিট ব্লক করে পরবর্তীতে যাত্রীদের কাছে কালোবাজারির মাধ্যমে অধিক দামে বিক্রয় করতেন। আসামি রেজাউল করিম তার সহযোগী সম্রাটের কাছে টিকিট সরবরাহ করতেন। সম্রাট এসব টিকিট তিনি নিজে ও তার অজ্ঞাত সহযোগীদের দিয়ে অধিকমূল্যে কালোবাজারির মাধ্যমে বিক্রি করে আসছিলেন। আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজসে পবিত্র ঈদুল ফিতর ও আজহাসহ বিভিন্ন উৎসবে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট অবৈধভাবে সংগ্রহ করেন। তা নিজদের কাছে রেখে কালোবাজারে নির্ধারিতমূল্যের চেয়ে অধিকমূল্য বিক্রয় করে আসছিলেন।
এই দুইজন কালোবাজারীর সঙ্গে জড়িত অভিযোগ পেয়ে র্যাব-১ এর গোয়েন্দা দল কমলাপুর স্টেশন থেকে আটক সহজ ডটকমের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে তার দেওয়া তথ্যে টিকিট কালোবাজারির বিষয়টি নিশ্চিত হয় র্যাব। পরে সহযোগী এমরানুলকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২৯ এপ্রিল র্যাব-১ এর নায়েবে সুবেদার মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার রেলওয়ে থানায় মামলা করেন। বর্তমানে তারা জামিনে রয়েছেন।