ঢাকার গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্র আয়াজ হক হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় ঘোষণার ধার্য দিন আগামীকাল রোববার। আসামিদের করা আপিলের শুনানি শেষে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করা হয়। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের বেঞ্চে রায়ের জন্য মামলাটি রোববারের কার্যতালিকায় ৯ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।
আদালতে ইনজামামুন ইসলাম ওরফে জিসানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বদিউজ্জামান তপাদার।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৯ জুন ঢাকা সিটি কলেজের প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি ও খরচ বাবদ টাকা তোলা নিয়ে আয়াজের বড় ভাই আশদিন হকের সঙ্গে আসামিদের কথা-কাটাকাটি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়।
সেদিন বিকেলে জিগাতলা যাত্রীছাউনির কাছে আয়াজকে একা পেয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন আসামিরা। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ঘটনায় আয়াজের বাবা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শহীদুল হক মামলা করেন। বিচার শেষে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর আদালত জিসানকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড, তৌহিদুল ইসলাম, মশিউর রহমান আরাফ, তৌহিদুল ইসলাম শুভ, আবু সালেহ মো. নাসিম ও আরিফ হোসেন রিগ্যানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন জিসান ও শুভ।
এ দিকে দণ্ডিতদের মধ্যে জিসান কারাগারে, শুভ জামিনে এবং বাকি আসামিরা পলাতক বলে জানিয়েছেন আইনজীবী শিশির মনির।