কোনো ল্যাব নেই, মেশিনপত্র নেই। তবু নিয়মিত বিদেশগামী রোগীদের কাছ থেকে নমুনা নিয়ে কোভিড সনদ প্রদান করত রাজধানীর পুরানা পল্টনের ‘আল জেমী ডায়াগনস্টিক সেন্টার’। এমন তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত ২১ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. শেখ দাউদ আদনান স্বাক্ষরিত চিঠিতে আল জেমী ডায়াগনস্টিকের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। সেখানে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটি বিদেশগামী যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিবন্ধনভুক্ত। এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিদেশগামী যাত্রীদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে কোভিড পরীক্ষার সনদ প্রদান করা হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটিতে গত ৪ মাস ধরে আরটি-পিসিআর ল্যাবের কোনো সেট-আপ নেই এবং কার্যক্রম সম্পন্ন বন্ধ রয়েছে। অথচ প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত বিদেশগামী যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করে সনদ প্রদান করে আসছে। ইতিপূর্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করা হলেও এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সেই নির্দেশ উপেক্ষা করা হয়েছে। এ ধরনের অনিয়মের কারণে আল জেমী ডায়াগনস্টিকের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হলো।
এদিকে গত ১৯ মার্চ মোহাম্মদপুরের হুমায়ূন রোডের অ্যাডভান্স ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ভাড়া সংক্রান্ত বিষয় আদালতে বিচারাধীন থাকায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না, আগামী সাত দিনের মধ্যে সেটি জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. শেখ দাউদ আদনান।