জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম হাসিবুল হক আসামিদেরও বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
অন্য যে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তারা হলেন সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়েবা নূর। দণ্ডবিধির ৪৮৯ (গ) ধারায় অভিযোগ গঠন করে আগামী ১৩ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে পাপিয়া ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে এই মামলার বিচার শুরু হলো।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
এসব ঘটনায় পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানার মাদক ও অস্ত্র মামলা, গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং আইনে মামলা, বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। গত ১২ অক্টোবর পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মঞ্জুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে অস্ত্র মামলায় ২০ বছর কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল।
বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা মামলায় দুটি অভিযোগপত্র হয়। বৈদেশিক মুদ্রা দখলে রাখার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও জাল টাকার জন্য দণ্ডবিধির ৪৮৯ (গ) ধারায় পৃথক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।