নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান জনিকে নয় বছর আগে পুলিশি হেফাজতে ‘ক্রসফায়ারের নামে’ হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম রিমান্ডে নেওয়ার এই নির্দেশ দেন।
বিকেলে আছাদুজ্জামানকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার এসআই মোহাম্মদ গোলাপ উদ্দিন মাহমুদ তাকে ১০ দিনে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
অন্যদিকে আছাদুজ্জামান মিয়ার পক্ষে রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন একজন আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আছাদুজ্জামানকে আদালতের কাঠগড়ায় নেওয়ার পর আইনজীবী ওকালত নামায় স্বাক্ষর করাতে গেলে আদালতে উপস্থিত উৎসুক আইনজীবীরা বাধা দেন। এ সময় আদালত বলেন, আসামিপক্ষকে আইনজীবী নিয়োগ করতে দেওয়া না হলে মামলার শুনানি গ্রহণ করা হবে না। পরে আইনজীবী ওকালতনামায় স্বাক্ষর নেন।
করা নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আছাদুজ্জামানকে আদালতে হাজির করা হয়। কিছু উচ্ছৃঙ্খল আইনজীবী আছাদুজ্জামানকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
গত বুধবার রাতে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভার এলাকা থেকে আছাদুজ্জামানকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে আজ হাজির করা হয়। জনির বাবা ইয়াকুব আলী গত ২ সেপ্টেম্বর খিলগাঁও থানায় এ মামলা করেন।
মামলায় আসামি করা হয়, ডিএমপির তৎকালীন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ সাবেক ১৩ পুলিশ কর্মকর্তা এবং সাবেক সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৪৯ নেতা কর্মীকে আসামি করা হয়। এ ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, জনি খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হন। এর আগে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের প্ররোচনায় তৎকালীন ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা বাদীর ছেলেকে আটক করে সু পরিকল্পিতভাবে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করেন।