মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় স্বামী মো. জাহিদুল ইসলামকে (৩০) এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় একই সঙ্গে আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারিক আদালতের বিচারক বেগম তানিয়া কামাল আসামির অনুপস্থিতে রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহিদুল ইসলাম ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার বাইচাইল এলাকার বাসিন্দা।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল সরকারি কৌঁসূলি (পিপি) অ্যাডভোকেট একেএম নুরুল হুদা রুবেল জানান, বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন মো. জাহিদুল ইসলাম। ২০১৮ সালের ২৪ মার্চ সকালে অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম সাটুরিয়া উপজেলায় শ্বশুর বাড়ি গিয়ে স্ত্রীর কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
স্ত্রী টাকা দিতে অস্বীকার করলে জাহিদুর ইসলাম স্ত্রীকে মারধর করে পালিয়ে যায়। পরের দিন ২৫ মার্চে স্ত্রী জাহিদুল ইসলাম ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামি করে মানিকগঞ্জ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যৌতুকের মামলা করেন। পরে আদালতের নির্দেশে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠান। পরে আদালত থেকে আসামি জাহিদুল ইসলামসহ বাকিরা ২০ দিন কারাভোগের পর জামিনে বের হন।
এরপর জুডিশিয়াল তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জাহিদুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। বাকিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকায় তাদের চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়। চার্জশিট দাখিল করার পর থেকে পলাতক ছিলেন জাহিদুর ইসলাম। এই দীর্ঘ সময় উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আসামি অনুপস্থিতে বিচারক এক বছরের কারাদণ্ড, একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি একেএম নুরুল হুদা রুবেল সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শফিকুল ইসলাম উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।