সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় অটোচালক হত্যা মামলায় চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২ নম্বর আদালতের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন উর্মি আসামিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডবিধির ৩০২ / ৩৪ ধারায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ ও ৩৯৪ ধারায় একই আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালতের বিচারক। এ ছাড়া ওই মামলার অপর আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন—রুবেল ইসলাম নয়ন, মোহাম্মদ রাজেল, আকরাম মোল্লা ও হাসান শেখ।
এ ছাড়াও মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ইমরান হোসেন তোফাজ্জল ও সবুজ শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাঁদের খালাস দিয়েছেন। অপরদিকে তিন আসামিকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আশরাফুল ইসলাম প্রতিদিনের মতো সন্ধ্যা ৬টার দিকে অটোরিকশা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। পরে রাত ৮টার দিকে নিহতের বাবা মো. রফিকুল ইসলামের কাছে খবর আসে তাঁর ছেলে আশরাফুলকে উপজেলার গোয়ালিমান্দ্রা এলাকায় গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পায়।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে লৌহজং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো। রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার বিবরণীতে আরও জানা গেছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ অন্যান্য আসামিরা অটো-ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে আশরাফুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করে রাস্তায় ফেলে রেখে অটো নিয়ে চলে যায়।
ঘটনায় নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম পরের দিন ৩০ সেপ্টেম্বর লৌহজং থানায় ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে এ ঘটনায় ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দেন এবং মামলায় সাক্ষ্য ১৩ জন সাক্ষী দেন। ৩ বছরের অধিক সময় বিচার কার্য শেষে আদালত আজ এই রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই আদালতের সরকারি কৌশলী অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম (পল্টু) জানান, এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছে। সমাজে এর সুফল বয়ে আনবে।