নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ই-অরেঞ্জের পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে বণ্টন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে থাকা পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
ই-অরেঞ্জের বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। এ ছাড়া দুদক ও বিএফআইইউকে তদন্ত করে আগামী চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এই সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল ৭৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার ৫৪৭ জন গ্রাহক। আদালতে গ্রাহকদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম ও এম আব্দুল কাইয়ুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করেছিল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ। এরপর গত বছরের মাঝামাঝি থেকে গ্রাহকের টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ না করে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। ই-অরেঞ্জ ছাড়াও ই-কমার্সভিত্তিক অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।