নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুলিশ জনগণের বন্ধু নয়, দলীয়করণের কারণে জনশত্রুতে পরিণত হয়েছে। এখন পুলিশ রিফর্ম করা রাজনৈতিক সদিচ্ছার বিষয়। পুলিশকে জনবান্ধব করতে প্রথমে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘পুলিশের আনুগত্য হোক আইন ও জনগণের প্রতি, ক্ষমতার প্রতি নয়: কীভাবে সম্ভব এই রূপান্তর?’ শীর্ষক সংলাপে আলোচকেরা এসব কথা বলেন।
সংলাপে পুলিশের সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা বলেন, ‘পুলিশ রিফর্ম আসলে চাই কি না তা রাজনৈতিক সদিচ্ছার বিষয়। আইন পরিবর্তন করতে হবে। পুলিশ স্বাধীন হতে নয়, বরং নিজ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা চেয়েছে। নৈতিক অবক্ষয় যা হয়েছে, তা চিন্তা করা যায় না। এগুলো হয়েছে, রাজনীতিতে যদি থাকে আমার গদি ঠিক, বাকি যা হওয়ার হোক।’
সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মো. নাজমুল হক বলেন, একজন কনস্টেবল পড়াশোনায় ঘাটতি নিয়ে আসে। আসার পর ছয় মাস প্রশিক্ষণ। পরে আর কোনো প্রশিক্ষণ নাই। তাঁর হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। সে গুলি করা ছাড়া আর কিছু পারে না। কনস্টেবল প্রশিক্ষণ এক বছর করতে হবে। মানবিক গুণাবলি শেখাতে তা সিলেবাসে থাকতে হবে। শিক্ষায় পুলিশি সেবার বিষয় নিয়ে অধ্যায় রাখা যেতে পারে।
রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশে নিয়োগ দেওয়ার সময় চৌদ্দ গোষ্ঠীর রাজনৈতিক পরিচয় খোঁজা হয়। তাহলে তাঁরা রাজনীতিমুক্ত হবে আশা করেন কীভাবে?’
সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. মির্জা হাসান। আরও বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মতামত জানান নেত্র নিউজের সম্পাদক তাসনীম খলিল।