বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ইমাম হাসান তাইম হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার ঘণ্টা আটকে রেখে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ১৪ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলে। শিক্ষার্থীরা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধারগঞ্জের মৌচাক এলাকায় অবস্থান নিয়েছিলেন।
নিহত ইমাম হাসান তাইম রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের এসআই মো. ময়নাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে।
নিহত ইমাম হাসানের ভাই রবিউল বলেন, মামলা নেওয়ার পর থেকে পুলিশ শুধু আমাদের থেকে সময় নিচ্ছে। যার কাছে যাই সে ২৪ ঘণ্টা ৪৮ ঘণ্টা করে সময় নেয়। কিন্তু কেউ বিচার করে না। আজ ২৩ দিন পার হয়ে গেলেও তারা আমাদের ভাই হত্যার কাউকে ধরতে পারল না। তাই আজ আমার ভাইয়ের সহপাঠিরা সড়কে নামেছে বিচারের দাবিতে। তার ভাই হত্যার বিচারের দাবিতে। আমরা চাই আমাদের ভাইয়ের খুনির দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওয়াতায় আনার।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে যার যার বাড়িতে ফেরানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী নগর এমডব্লিউ কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমাম হাসান তাইম (১৯)। এ ঘটনায় ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। গত ২০ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহাম্মদের আদালতে ওই শিক্ষার্থীর মা পারভীন আক্তার এ মামলা করেন।