হোম > সারা দেশ > ঢাকা

অস্ট্রেলিয়ায় নিখোঁজের ২ মাস পর ঢাকায় মিলল নারীর মরদেহ, মৃত্যু নিয়ে রহস্য

অনলাইন ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়া থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক নারী। সেই ঘটনার দুই মাস পর তাঁর মরদেহ পাওয়া যায় বাংলাদেশের আশুলিয়া থেকে। রেহানা পারভিন নামে সেই নারীর মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া কোনো দেশেরই পুলিশ বিষয়টির কোনো কূল-কিনারা

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেহানা পারভিন নিখোঁজ হওয়ার দুই সপ্তাহ পর তাঁর স্বামী আওলাদ হোসেন একা অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যান। প্রতিবেদন অনুসারে, পাঁচ সন্তানের জননী রেহানা গত ৬ জুন বাংলাদেশে এসেছিলেন। 

ঢাকার দোহার সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মো. আশরাফুল আলম জানান, গত ৩ জুলাই রেহানা পারভিনের মা আইরিন নবাবগঞ্জ থাকায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি লেখান। এতে আইরিন আখতার সুস্পষ্ট অভিযোগ আনেননি, তবে তাঁর মেয়ের অপহরণের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে চারজনকে অভিযুক্ত করেন, যাঁদের একজন হলেন পারভিনের স্বামী আওলাদ হোসেন। আইরিন আখতার উল্লেখ করেন, বাকি তিনজনও পারভিনের পরিচিত ছিলেন। 

আশরাফুল আলম বলেন, ‘গত ৮ সেপ্টেম্বর, রেহানার মা আনুষ্ঠানিকভাবে চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন যে, তাঁরা তাঁর মেয়েকে অপহরণ করেছেন এবং সে কারণেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।’ তিনি জানান, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছে এবং এ ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে আরও একজনকে চিহ্নিত করেছে। 

আশরাফুল আলম জানান, এরই মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন আওলাদ হোসেনের বোন পাপিয়া আক্তার এবং রেহানা পারভিনের গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন। তাঁরা দুজন পারভিনের নিখোঁজ হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছি...তাঁরা ভিকটিম হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমরা অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’ 

গত ১২ সেপ্টেম্বর সাভারের আশুলিয়ার একটি গ্রামে রেহানা পারভিনের নিজ বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের পাশ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সেখানে তাঁকে পুঁতে রাখা হয়েছিল। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এর আগে রেহানা পারভিনের স্বামী আওলাদ হোসেন ২৯ জুন বাংলাদেশে পৌঁছান এবং ১৩ জুলাই অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান। এই দম্পতি প্রায় ২০ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছিলেন। এই সময়টাতে তাঁরা ব্রিসবেন ও কুইন্সল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় থেকেছেন। বিয়ের পর এই দম্পতি অস্ট্রেলিয়া চলে যান এবং নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানেই থাকেন। তার পরও রেহানার নিখোঁজ হওয়ার খবর অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমে খুব একটা আসেনি। 

এবিসি নিউজের অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই দম্পতি নিজেদের মধ্যেই থাকতেন। বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে তাঁদের খুব একটা সখ্য ছিল না। রেহানা-আওলাদ দম্পতির তিনটি সম্পত্তি ছিল। তার মধ্যে ১৬ হেক্টর জমি ও একটি ভালো বাড়ি উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া তাঁদের আরও জমি ছিল। 

তবে এর বাইরে রেহানার নামে একই এলাকায় ১৪ দশমিক ৬ হেক্টর জমি ছিল। পাশাপাশি বাংলাদেশেও রেহানার বেশ কিছু সম্পত্তি ছিল। আওলাদ হোসেনেরও কিছু সম্পত্তি আছে ইসপউইচের রেডব্যাংক এলাকায়। 

কুইন্সল্যান্ড পুলিশের এক মুখপাত্র বলেছেন, রেহানা পারভিনের দেহ আবিষ্কারের আগে তাঁর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব ছিল অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশের (এএফপি)। এএফপির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘কুইন্সল্যান্ড পুলিশ সার্ভিস থেকে এক অস্ট্রেলীয় নাগরিকের বিদেশে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন পেয়েছি আমরা।’ 

মুখপাত্র আরও বলেছেন, ‘এএফপি আন্তর্জাতিক অংশীদার ও বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেছে। যেহেতু  বিষয়টির তদন্ত চলমান, তাই এএফপি এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে পারছে না।’ 

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিভাগের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘বাংলাদেশে নিখোঁজ অস্ট্রেলীয় নারীর পরিবারের জন্য কনস্যুলার সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।’

অপ্রশস্ত সেতুতে ভোগান্তি

ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর বিরুদ্ধে থানায় জিডি

সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেলের কারখানা পরিদর্শনে ভোক্তা-অধিকারের কর্মকর্তারা

আন্তকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মাইলস্টোন কলেজের সাফল্য

পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

ব্রির ছয় দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা শুরু

সিরাজদিখানে কুকুরের কামড়ে ৫ শিশুসহ আহত ১৫

সাবেক এমপির নামফলক ভেঙে গণপিটুনি খেলেন শ্রমিক দল নেতা

নাগরপুরে আ.লীগ নেতা কুদরত আলী গ্রেপ্তার

ইসমাইলের মৃত্যু: ডেলটা হেলথ কেয়ারের চিকিৎসকসহ ৫ জন কারাগারে

সেকশন